তুষারের ছবির সঙ্গে সমাবর্তনের ফটোসেশন সহপাঠীদের
ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির একাদশ সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার অনুষ্ঠিত এ সমাবর্তনে অংশ নেওয়ার কথা ছিল রাজধানীর বেইলি রোডের অগ্নিকাণ্ডে নিহত বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতা ও গণযোগাযোগ বিভাগের ৩৯তম ব্যাচের ছাত্র তুষার হাওলাদারের। তবে তুষার না থেকেও ছিলেন এ সমাবর্তনে। ফটোসেশনে তুষারের স্মৃতিচারণ করেছেন করেছেন তার সহপাঠীরা।
জানা যায়, সদ্য অনার্স শেষ করেছেন তুষার হাওলাদার। ফেব্রুয়ারিতে যোগ দিয়েছিলেন চাকরিতে। তুষার হাওলাদারের সহপাঠীরা জানান, তুষার এ সমাবর্তন নিয়ে করছিলেন নানা পরিকল্পনা। বাবা-মাকে কনভোকেশনে নেওয়ার জন্য টাকাও জমা দিয়েছিলেন তিনি।
তুষারের সহপাঠী আইরিন আঁচল বলেন, তুষার আমাদের সহপাঠী। গত চার বছর আমরা একসঙ্গে পড়াশোনা করেছি। ক্লাস থেকে শুরু করে মাঠের আড্ডা সব জায়গায় তুষারের উপস্থিতি সবসময় ছিল আগে। আজ আমাদের কনভোকেশন। সবাই গিয়েছি। সঙ্গে ছিলেন অভিভাবকেরা। কিন্তু তুষার আসেনি। ওকে আমরা কোথাও পাইনি। তুষারকে আমরা পাবো না এটা ভাবতেই পারছিলাম না।
তিনি বলেন, এত প্ল্যান ছিল আমাদের কনভোকেশন নিয়ে, তুষারের অনুপস্থিতিতে সব কেমন ম্ল্যান হয়ে গেছে। তাই আমরা বন্ধু-বান্ধব সকলে মিলে তুষারের একটা ছবি বড় করি বাঁধাই করি। ও আমাদের সঙ্গে ছিল এবং থাকবে।
এ সমাবর্তন অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিনের প্রতিনিধি হিসেবে সভাপতিত্ব করেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী। এতে সমাবর্তন বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন আমেরিকার জর্জটাউন ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক ড. ফ্রাঙ্কো গান্ডোলিফ। সমাবর্তন অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখবেন ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান ড. মো. সবুর খান।
অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত দায়িত্ব) প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আলমগীর, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম লুৎফর রহমান। ভ্যালিডেকটোরিয়ান বক্তব্য প্রদান করেন সাংবাদিকতা বিভাগের গ্র্যাজুয়েট মো. মেহরাবুল হক।