ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের নিখোঁজ সেই ছাত্র মারা গেছেন, ডিএনএ টেস্টে শনাক্ত
রাজধানীর বেইলি রোডের বহুতল ভবনে অগ্নিকাণ্ডের পর থেকে নিখোঁজ ছিলেন ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নাজমুল হাসান। ঘটনার পর তার দুই বন্ধুর লাশ পাওয়া গেলেও নাজমুলের সন্ধান পায়নি বলে অভিযোগ ছিল পরিবার।
ঘটনার ১১ দিন পর নাজমুলের সঙ্গে তার বাবা-মায়ের ডিএনএ মিলেছে। রবিবার (১০ মার্চ) এ তথ্য নিশ্চিত করেন বাংলাদেশ পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) ডিআইজি একেএম নাহিদুল ইসলাম।
তিনি জানান, নাজমুলের পরিবারের সদস্যরা ডিএনএ পরীক্ষার জন্য নমুনা দিয়েছিলেন। শনিবার (৯ মার্চ) তার ডিএনএ শনাক্ত হয়েছে। তার পরিবারের সঙ্গে ডিএনএ মিলেছে।
ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার প্রকৌশল বিভাগের শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন নাজমুল। নজরুল ইন্ডাস্ট্রিজের (পাইপ ও ফিটিংস) মালিক নজরুল ইসলামের চার ছেলের মধ্যে তিনি ছিলেন দ্বিতীয়।
অগ্নিকাণ্ডের পরদিন শুক্রবার (১ মার্চ) নজরুল ইসলাম জানান, নাজমুল ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির কম্পিউটার প্রকৌশল বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। অগ্নিকাণ্ডের কিছুক্ষণ আগে রেস্টুরেন্ট থেকে বের হয়ে যান নাজমুলদের এক বন্ধু। তিনিই পরে বাকি বন্ধুদের পরিবারকে অগ্নিকাণ্ডের খবর জানান।
তার মামা আনোয়ার হোসেন গাজী বলেন, নাজমুল অনেক মেধাবী শিক্ষার্থী ছিল। রাজধানীর আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে গোল্ডেন এ প্লাস পেয়েছিল সে। ভার্সিটি শেষ কইরা বিদেশে পাঠানোর স্বপ্ন ছিল দুলাভাইয়ের (নাজমুলের বাবা)। সব পুইড়া শেষ হইয়া গেল।
বেইলি রোডের ওই ভবনে বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) রাত ৯টা ৫০ মিনিটে আগুন লাগে। এতে ৪৬ জন নিহত হন।