নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটিতে নারী দিবস উপলক্ষ্যে আলোচনা সভা
নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটিতে (এনএসইউ) আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষ্যে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। রবিবার (১০ মার্চ) সকালে বিশ্ববিদ্যালয়টির ফ্যাকাল্টি অ্যান্ড অফিসার্স লাউঞ্জে সকল নারী শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা কেক কেটে অনুষ্ঠানটির উদ্বোধন করেন।
আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এনএসইউ বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সদস্য মিসেস শীমা আহমেদ এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়টির কোষাধ্যক্ষ ও উপ-উপাচার্য (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক আব্দুর রব খান। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন এনএসইউ’র রেজিস্ট্রার ড. আহমেদ তাজমীন, স্কুল অব হিউম্যানিটিজ অ্যান্ড সোশ্যাল সায়েন্সের ডিন অধ্যাপক এসকে তৌফিক এম হক, স্কুল অব ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড ফিজিক্যাল সায়েন্সের ডিন অধ্যাপক জাবেদ বারী এবং স্কুল অব হেলথ অ্যান্ড লাইফ সায়েন্সের ডিন অধ্যাপক হাছান মাহমুদ রেজা সহ ইউনিভার্সিটির শিক্ষক ও শিক্ষার্থী, কর্মকর্তাবৃন্দ।
পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত ও জাতীয় সঙ্গীতের প্রতি সম্মান জানিয়ে অনুষ্ঠানটি শুরু করা হয়। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন এনএসইউ বিবিএ প্রোগ্রামের পরিচালক ও সহযোগী অধ্যাপক ড. মেহে জেড. রহমান।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মিসেস শীমা আহমেদ বলেন, ‘নারীদের সমতা ও ক্ষমতায়নের জন্য সরকার অনেক পদক্ষেপ নিয়েছে। কিন্তু এখনও সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও নীতি প্রণয়নের মতো বিষয়গুলোতে নারীরা পিছিয়ে আছে। এই বিষয়ে আমাদের আরও সচেতন হতে হবে।”
বিশেষ অতিথি ড. আব্দুর রব বলেন, “নারীদের অধিকার নিশ্চিত করার পাশাপাশি তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। ঘরে-বাইরে, কর্মস্থলে নারী-নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করতে হবে।’
ড. আহমেদ তাজমীন বলেন, ‘সমাজ ও রাষ্ট্র যেদিন পুরুষদের মতো নারীদের সকল ইচ্ছা, আকাঙ্ক্ষা, স্বাধীনতার স্বীকৃতি দেবে, সেদিনই সমাজে প্রকৃত সমতা দেখা যাবে। তবে সেদিন আর বেশি দূরে নয়, নারীরাও যে সকল ক্ষেত্রে পুরুষদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে চলতে পারে তা প্রমাণিত।’
এছাড়া বক্তারা একটি কথোপকথনের আয়োজন করে যেখানে নারী দিবসের প্রয়োজনীয়তা, বাংলাদেশের নারী মুক্তির প্রয়োজনীয়তা, নারীদের নিরাপত্তা এবং নারী সহিংসতা ও হয়রানি রোধে সকলের করণীয় বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করা হয়।
একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানটির সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়। এই ইভেন্টের আয়োজনের মাধ্যমে, এনএসইউ বাংলাদেশে লিঙ্গ সমতা প্রচারে এবং নারীর ক্ষমতায়নে প্রযুক্তি ব্যবহারে তার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছে।