অতীশ দীপঙ্কর ইউনিভার্সিটিতে ‘ইঞ্জিনিয়ারিং সামিট’-এর পর্দা উঠল

অতীশ দীপঙ্কর ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি (এডাস্ট)-এ ‘ফার্স্ট ইন্টারন্যাশনাল ইঞ্জিনিয়ারিং সামিট ফর সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্টের উদ্বোধন করা হয়েছে। সোমবার (৪ মার্চ) সকাল ১১টায় তিন দিনব্যাপী এই সামিটের উদ্বোধন করা হয়। যা ৪ মার্চ থেকে ৮ মার্চ পর্যন্ত চলমান থাকবে।

সামিটে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিএসই, ইইই, সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং, টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং, রোবোটিক্স অ্যান্ড অটোমেশন ইঞ্জিনিয়ারিং এবং ফ্যাশন ডিজাইন অ্যান্ড টেকনোলজিসহ মোট ছয়টি বিভাগের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করে।

সামিটের উদ্‌বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংসদ সদস্য ও আইইবির বর্তমান সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার আবদুস সবুর।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়তে ইঞ্জিনিয়ারদের দক্ষ হয়ে নেতৃত্ব দিতে হবে। তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে পদ্মাসেতু বিনির্মাণে ইঞ্জিনিয়ারদের সাহসী ভূমিকার প্রশংসা করেন। তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন যে, অতীশ দীপঙ্কর বিশ্ববিদ্যালয়ের ফ্যাকাল্টি অব ইঞ্জিনিয়ারিং স্মার্ট বাংলাদেশে গড়ার লক্ষ্যে দক্ষ গ্র্যাজুয়েট তৈরিতে ভূমিকা পালন করবে।

গেস্ট অব অনার হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সদস্য প্রফেসর ড. সাজ্জাদ হোসেন। শিক্ষার্থীদের দেশপ্রেমের চেতনা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হতে আহ্বান জানান। তিনি বলেন, এখনই সময় নিজেকে গড়ার। প্রথমে মাতৃভাষা, ইংরেজি ভাষা এবং অন্য আরেকটি ভাষা যেমন: জাপানিজ, রাশিয়ান ইত্যাদি - মোট তিনটি ভাষায় দক্ষতা অর্জন করা লাগবে।

তিনি আরও বলেন, প্রকৌশলীদের পড়াশুনার পাশাপাশি প্রফেশনাল কোর্সের মাধ্যমে স্কিল ডেভেলপ করে নিজেকে আরো দক্ষ করতে হবে।

বিশেষ অতিথি হিসেবে জাইকা এক্সপার্ট-এর প্রধান উপদেষ্টা শুজি আকিহিরো ও প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর কাটসুকি নহো। তিনি স্কিল গ্র্যাজুয়েট তৈরির ব্যাপারে গুরুত্বারোপ করেন। প্রত্যেকে তার জায়গা থেকে একাডিমিয়া-ইন্ডাস্ট্রি কোলাবরেশনের মাধ্যমে এগিয়ে যেতে পারবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

চিফ প্যাট্রোন হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট লিয়াকত সিকদার। তিনি বলেন, World Engineering Day উপলক্ষ্যে এডাস্ট কর্তৃক আয়োজিত এই ইঞ্জিনিয়ারিং সামিট আমার জন্য একটি গর্বের মুহূর্ত। তিনি উপস্থিত জাইকার চিফ এডভাইজর সজি আকিহিরোর মাধ্যমে বাংলাদেশ সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণের জন্য জাপান সরকারকে ধন্যবাদ জানান। তিনি তরুণ প্রজন্মকে শুধু চাকরির পিছনে না ছুটে প্রধানমন্ত্রীর ইচ্ছা অনুসারে উদ্যোক্তা হওয়ার আহ্বান জানান। তাহলে ২০৪১ সালের অনেক আগেই প্রধানমন্ত্রীর স্থাপিত লক্ষ্য স্মার্ট বাংলাদেশ হতে সক্ষম হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

কো-প্যাট্রোন হিসেবে ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সম্মানিত সদস্য সৈয়দ মোহাম্মদ হেমায়েত হোসেন। 

বিশ্ববিদ্যালয় বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সদস্য জোনায়েত আহমেদ বলেন, অতীশ দীপঙ্কর বিশ্ববিদ্যালয়ের এই অগ্রযাত্রায় তিনি অত্যন্ত আনন্দিত এবং এই ইঞ্জিনিয়ারিং সামিটের কো-প্যাট্রোন হিসেবে এই সামিট এবং পরবর্তী এই ধরনের সকল সিম্পোজিয়াম, কনফারেন্সগুলোতে বোর্ড অফ ট্রাস্টি পূর্ণ সহযোগিতা করবে।

কি-নোট স্পিকার হিসেবে বক্তব্য প্রদান করেন ইন্ডিয়ান ভিজিটিআই-এর ইমেরিটাস প্রফেসর এবং এআইসিটিই-এর সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এস.এস. মান্থা।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. জাহাঙ্গীর আল সামিটের চেয়ার হিসেবে সামিটের শুভ উদ্বোধন করেন। স্বাগত বক্তব্যে তিনি বলেন- এ বছর World Engineering Day এর মূল প্রতিপাদ্য হলো ইঞ্জিনিয়ারিং সলিউশন ফর সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট।

সামিট এর কো-চেয়ার ফ্যাকাল্টি অব ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজির ডিন প্রফেসর ড. শাহরুখ আদনান খান ৩দিন ব্যাপী সামিটের ৯টি ইভেন্ট সম্পর্কে বিস্তারিত তুলে ধরেন। 

সামিটে মোট ৬টি ডিপার্টমেন্ট থেকে ৯টি সেশনে ওয়ার্কশপ, সেমিনার এবং হাই-টেক ট্রেনিং ইন্টারন্যাশনাল ট্রেইনারগণ পরিচালনা করবেন। যার মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা মোট ১২টি প্রফেশনাল সার্টিফিকেট পাবে।


সর্বশেষ সংবাদ