২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৭:৪৮

নর্থ সাউথ শিক্ষার্থীর মৃত্যু নিয়ে যা বললেন জাবি ছাত্রী সাবা

আবির মাশরুর ডায়মন্ড  © সংগৃহীত

বেসরকারি নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবির মাশরুর ডায়মন্ডের মৃত্যু নিয়ে মুখ খুলেছেন তার প্রেমিকা সাবা শবনম। তিনি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত।

গতকাল বুধবার সাবা গণমাধ্যমকে বলেন, ‘ঘটনার রাতে আমি দুবার তাঁকে কল দিয়েছিলাম। দুবারই রিসিভ করে; কিন্তু কোনো কথা বলে নাই। কয়েক সেকেন্ড কোনো কথা না বলায় আমি দুবারই কেটে দিয়েছি। পরে রাত তিনটার দিকে তাঁর (আবির) বাবা আমাকে ঘটনাটি জানান। আমাদের কোনো ঝামেলা হয়নি। সে তো বলেছিল ভালোবাসা দিবসে দেখা করতে না পারায় আমাকে সারপ্রাইজ দেবে।’

এর আগে গত বৃহস্পতিবার রাজধানীর সাভারের বিরুলিয়ার খাগান এলাকার ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি সংলগ্ন আবদুল জলিলের ভাড়া বাড়ির কাছে আবিরের মরদেহ পাওয়া যায়। একটি ভবনের পাঁচতলা থেকে নিচে পড়ে ডায়মন্ডের মৃত্যু হয় বলে জানিয়েছে পুলিশ। 

নিহত আবিরের বাড়ি বগুড়ার লতিফপুর এলাকায়। সে স্থানীয় মিজানুর রহমানের ছোট ছেলে। সম্প্রতি নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ব্যাচেলর অব বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (বিবিএ) সম্পন্ন করেছেন তিনি।

ডায়মন্ডের বন্ধুদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সাবা শবনমের সঙ্গে ছয় বছরের প্রেমের সম্পর্ক ছিল ডায়মন্ডের। তবে এই সম্পর্কে চির ধরেছিল। ঘটনার রাতে ডায়মন্ডের ফোনে সর্বশেষ দুটি ফোনকল এসেছিল তার প্রেমিকা সাবার নাম্বার থেকে। এছাড়া সাবার সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ মেসেজেও কথা হয়েছে ডায়মন্ডের। 

নিহত ডায়মন্ডের বড় ভাই আসিফ শাহরিয়ার জানান, শুক্রবার সকালে ডায়মন্ডের কয়েকজন বন্ধু ফোন করে জানায়, ডায়মন্ড ভবনের ছাদ থেকে পড়ে গেছে। এরপর আমরা ঢাকায় গিয়ে তার লাশ পাই। পরে সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজে ময়নাতদন্ত শেষে সেদিনই তার লাশ দাফন করা হয়। আমার ভাইয়ের মৃত্যুর আসল কারণ জানতে চাই। 

এ বিষয়ে জানতে চাইলে সাভার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আকবর আলী খান বলেন, নিহত ডায়মন্ডের মৃত্যুর ঘটনার তদন্ত চলছে। প্রাথমিকভাবে হত্যার কোনো আলামত পাওয়া যায়নি। কোনো আলামত পাওয়া গেলে মামলার ধারা বদল হবে।