শিক্ষার্থী সংখ্যায় এগিয়ে যে ১০ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়
দেশে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম যাত্রা ১৯৯২ সালে। দীর্ঘ ৩০ বছরেরও বেশি সময় পেরিয়ে উচ্চশিক্ষার এসব প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা এখন শতাধিক। বর্তমানে উচ্চ মাধ্যমিক শেষ করা একটি বড় অংশের শিক্ষার্থীদের উচ্চশিক্ষার জন্য অন্যতম ভরসা হয়ে দাঁড়িয়েছে বেসরকারি উদ্যোগে গড়ে ওঠা এসব উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর তদারক সংস্থা ইউজিসি (বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন) বলছে, ক্যাম্পাস শিক্ষার্থীদের ব্যক্তি-পরিচয়ের মাধ্যম। আর বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো এখন ভাড়া বাড়ি থেকে স্থায়ী ক্যাম্পাসে ফিরছে। এতে করে শিক্ষার্থীরাও এসব প্রতিষ্ঠানে আগ্রহী হচ্ছেন।
দেশে বর্তমানে অনুমোদিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা ১১০টি। এর মধ্যে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনায় থাকা ১০৪টি বিশ্ববিদ্যালয়ে সব মিলিয়ে শিক্ষার্থী প্রায় সাড়ে তিন লাখের মতো। এসকল শিক্ষার্থীদের মধ্যে এক তৃতীয়াংশই পড়ছেন ১০ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে। সম্প্রতি ইউজিসির প্রকাশিত সর্বশেষ ‘৪৯তম বার্ষিক প্রতিবেদন ২০২২’-এ উঠে এসেছে এমন চিত্র।
বেসরকারি অনেক বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা ও গবেষণায় কিছু কিছু পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের চেয়েও ভালো করছে। অনেক বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে বিদেশি ডিগ্রি ছাড়া শিক্ষক হয় না। সেক্ষেত্রে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার যোগ্য অনেক শিক্ষার্থী বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় বেছে নিচ্ছেন। তাদের সময়ও বেঁচে যাচ্ছে— অধ্যাপক বিশ্বজিৎ চন্দ্র, সদস্য ইউজিসি
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, শিক্ষার্থীদের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নের আগ্রহ বেশি থাকলেও আসন সংখ্যা সীমিত হওয়ার কারণে অনেকে বাধ্য হয়ে বেছে নিচ্ছেন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়কে। এসব উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধা ও পড়াশোনার সুস্থ পরিবেশ থাকায় দিনদিন এ আগ্রহ আরও বাড়ছে। এছাড়া শিক্ষার মান ও গবেষণা বৃদ্ধি এবং যোগ্য শিক্ষকের মাধ্যমে পাঠদান নিশ্চিত ও চাকরির বাজারে চাহিদা নির্ভর পাঠদান প্রদান করাসহ সেশনজন না থাকার কারণে শিক্ষার্থীরা এসব প্রতিষ্ঠানে ঝুঁকছেন।
ইউজিসির সর্বশেষ প্রতিবেদন অনুযায়ী, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে মোট শিক্ষার্থী ৩ লাখ ৪১ হাজার ৫৮ জন। এর মধ্যে শিক্ষার্থী সংখ্যায় এগিয়ে থাকা ১০ বেসরকারি উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানেই রয়েছে ১ লাখ ২৯ হাজার ৪০ জন শিক্ষার্থী।
গবেষণার সংখ্যা ও মানের দিক থেকে এনএসইউ সেরা। অনেকের মাথায় হয়তো আইডিয়া আছে, কিন্তু বিভিন্ন কারণে তা বাস্তবায়ন করতে পারছে না। তাদের প্রশিক্ষণ-পৃষ্ঠপোষকতা—সব আমরা দিই। এসব কারণে এনএসইউ শিক্ষার্থীদের আগ্রহ বাড়াতে সহায়ক ভূমিকা রাখছে— অধ্যাপক ড. আতিকুল ইসলাম, উপাচার্য, নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি
১. নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি
ইউজিসির পরিসংখ্যান অনুযায়ী বর্ণিত বছরে সর্বোচ্চ সংখ্যক শিক্ষার্থী রয়েছে ১৯৯২ সালে প্রতিষ্ঠিত দেশের প্রথম বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটিতে। এই উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ২২ হাজার ৭৫৪ জন। একাডেমিকের পাশাপাশি চাকরির বাজারের জন্য শিক্ষার্থীদের ক্রমবর্ধমান চাহিদার সাথে তাল মিলিয়ে চলতে ক্রমাগত আপডেট করার কারণে শিক্ষার্থীরা নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির প্রতি বেশি আগ্রহী বলে মনে করেন বিশ্ববিদ্যালয়টির উপাচার্য অধ্যাপক ড. আতিকুল ইসলাম।
তিনি বলেন, আমরা ব্যতিক্রমী শিক্ষাদানে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমরা শুধু একাডেমিক নয়, শিক্ষার্থীদের সামগ্রিক অভিজ্ঞতা নিয়ে কাজ করে থাকি। শিক্ষার্থীদের এখানে এমনভাবে তৈরি করা হয় যেন তারা বৈশ্বিক চিন্তাভাবনা করবে, বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে কাজ করবে। হাতে-কলমে শিক্ষার এই পদ্ধতি শিক্ষার্থীদের বাস্তব-বিশ্বের চ্যালেঞ্জের জন্য প্রস্তুত করে।
এ ছাড়া গবেষণার সংখ্যা ও মানের দিক থেকেও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে এনএসইউ সেরা বলে জানান তিনি। তিনি বলেন, অনেকের মাথায় হয়তো আইডিয়া আছে, কিন্তু অর্থায়ন কিংবা সঠিক দিকনির্দেশনার অভাবে বাস্তবায়ন করতে পারছে না। তাদের প্রশিক্ষণ থেকে শুরু করে পৃষ্ঠপোষকতা—সব আমরা দিই। এসব কারণেই নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি শিক্ষার্থীদের আগ্রহ বাড়াতে সহায়ক ভূমিকা রাখছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ে স্বাস্থ্যকর পরিবেশ, একাডেমিক শিক্ষা ও সহশিক্ষার পর্যাপ্ত ব্যবস্থা থাকায় শিক্ষার্থীদের আগ্রহ ড্যাফোডিলের প্রতি দিন দিন বাড়ছে। তাই আশা করছি শিক্ষার্থী সংখ্যা আগামীতে আরও বাড়বে— অধ্যাপক এম লুৎফর রহমান, উপাচার্য, ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি
২. ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি
২০২২ সালের তথ্য উপাত্ত নির্ভর ইউজিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে শিক্ষার্থী সংখ্যা দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। এই উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানটিতে শিক্ষার্থী সংখ্যা ১৯ হাজার ৬০৭ জন। ভালো পরিবেশ ও মানসম্মত শিক্ষার কারণে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিকে অনেক শিক্ষার্থী বেছে নেই বলে মনে করেন উচ্চশিক্ষালয়টির উপাচার্য অধ্যাপক এম লুৎফর রহমান।
তিনি বলেন, আমরা লেখাপড়ার ক্ষেত্রে কোনো ছাড় দেয় না। বিশ্ববিদ্যালয়ে স্বাস্থ্যকর পরিবেশ, একাডেমিক শিক্ষা ও সহশিক্ষার পর্যাপ্ত ব্যবস্থা থাকায় শিক্ষার্থীদের আগ্রহ এই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতি দিন দিন বাড়ছে। তাই আশা করছি শিক্ষার্থী সংখ্যা আগামীতে আরও বাড়বে।
বিভিন্ন প্রোগ্রাম প্রণয়নে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটি, টেক্সাস এ অ্যান্ড এম ইউনিভার্সিটি কমার্স, যুক্তরাজ্যের ইউনিভার্সিটি অফ লিংকন, ইউনিভার্সিটি অফ কেন্টসহ বিশ্বের ২৫০টিরও বেশি প্রতিষ্ঠানের সাথে শিক্ষা ও গবেষণা কার্যক্রম সংক্রান্ত চুক্তি রয়েছে ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির, যা শিক্ষার্থীদের মাঝে চাহিদা তৈরি করেছে— অধ্যাপক সৈয়দ মাহফুজুল আজিজ, ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য, ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি
৩. ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি
শিক্ষার্থী সংখ্যার দিক দিয়ে বেসরকারি উচ্চশিক্ষালয়ের মধ্যে ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির অবস্থান চতুর্থ। দেশের অন্যতম এই বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী সংখ্যা ১৬ হাজার ৩৭৫ জন। ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির আধুনিক, যুগোপযোগী এবং বাস্তবমুখী প্রোগ্রামগুলো শিক্ষার্থীদের মাঝে চাহিদা তৈরি করেছে বলে মনে করেন বিশ্ববিদ্যালয়টির ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য অধ্যাপক সৈয়দ মাহফুজুল আজিজ।
তিনি বলেন, প্রোগ্রামগুলি প্রণয়নে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটি, টেক্সাস এ অ্যান্ড এম ইউনিভার্সিটি কমার্স, যুক্তরাজ্যের ইউনিভার্সিটি অফ লিংকন, ইউনিভার্সিটি অফ কেন্টসহ বিশ্বের ২৫০টিরও বেশি প্রতিষ্ঠানের সাথে শিক্ষা ও গবেষণা কার্যক্রম সংক্রান্ত চুক্তি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।
তিনি আরও বলেন, সাভারে আমাদের রয়েছে একটি রেসিডেন্সিয়াল সেমিস্টার। এটি ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির অনন্য একটি বৈশিষ্ট্য। এখানে 'অভিজ্ঞতামূলক শিক্ষা' নীতির উপর ভিত্তি করে শিক্ষার্থীদের একটি সামগ্রিক পাঠ্যক্রম অফার করা হয়ে থাকে, যা শিক্ষার্থীদেরকে মেধা বিকাশের জন্য প্রয়োজনীয় সফট স্কিল অর্জনে অত্যন্ত সহায়ক ভূমিকা পালন করে। আমাদের এসব উদ্যোগ এবং প্রচেষ্টাই শিক্ষার্থী এবং তাদের অভিভাবকদের মাঝে আস্থা তৈরি করছে।
শিক্ষার সময়োপযোগী মান ও পরিবেশ, স্কলারশিপ ও চাকরির বাজারে শিক্ষার্থীদের ভালো অবস্থান এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় শিক্ষার্থীদের পছন্দসই বিষয়ে পড়ার সুযোগের কারণে ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটিতে শিক্ষার্থী বাড়ছে— অধ্যাপক ড. আশিক মোসাদ্দিক, উপ-উপাচার্য, ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটি
৪. ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটি
ইউজিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, শিক্ষার্থী সংখ্যায় চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটি। এই বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ১৩ হাজার ৩৯১ জন। শিক্ষার সময়োপযোগী মান ও পরিবেশ, স্কলারশিপ ও চাকরির বাজারে শিক্ষার্থীদের ভালো অবস্থান এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় শিক্ষার্থীদের পছন্দসই বিষয়ে পড়ার সুযোগের কারণে ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটিতে শিক্ষার্থী বাড়ছে বলে জানান বিশ্ববিদ্যালয়টির উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. আশিক মোসাদ্দিক।
তিনি বলেন, বর্তমানে দেশের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো র্যাংকিংয়ে ভালো অবস্থানে থাকছে। কর্পোরেট জগতে মোট ১০ থেকে ১১ শতাংশই রয়েছে তাদের দখলে। এরই ধারাবাহিকতায় শিক্ষার্থীবান্ধব শিক্ষাকে আরও বেশি সমৃদ্ধ করার লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়।
৫. আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম
বন্দর নগরীতে অবস্থিত দেশের বৃহত্তম বেসরকারি উচ্চশিক্ষালয় আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রাম। ১১ হাজার ৪২৭ জন শিক্ষার্থী নিয়ে এই প্রতিষ্ঠানের অবস্থান পঞ্চম। রাজধানী ঢাকার বাইরে এটি একমাত্র বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে শিক্ষার্থী সংখ্যায় শীর্ষ দশে স্থান করে নিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়টির স্থায়ী ক্যাম্পাস চট্টগ্রামের সীতাকুন্ড উপজেলার কুমিরায় অবস্থিত। পূর্ণ অবকাঠামো এবং সুবিশাল ক্যাম্পাস হওয়ায় রাজধানীর বাইরে হয়েও শিক্ষার্থী সংখ্যায় তালিকায় শীর্ষ দশে স্থান করে নিয়েছে এই উচ্চশিক্ষালয়টি।
আরও ৫ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়
শিক্ষার্থী সংখ্যার দিক দিয়ে বেসরকারিভাবে পরিচালিত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে ষষ্ঠ অবস্থানে রয়েছে আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি-বাংলাদেশ। এই উচ্চশিক্ষালয়ে মোট শিক্ষার্থী ১০ হাজার ৩৮৬ জন। তালিকায় সপ্তম স্থানে রয়েছে ইনডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশ। বিশ্ববিদ্যালয়টিতে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থী ৯ হাজার ৯৫৪ জন।
এছাড়া শিক্ষার্থী সংখ্যার দিক দিয়ে অষ্টম অবস্থানে সাউথইস্ট ইউনিভার্সিটি (৮ হাজার ৯৪৮ জন), নবম অবস্থানে ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি (৮ হাজার ১৭৪ জন) এবং দশম অবস্থানে রয়েছে ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি (৮ হাজার ২৪ জন)।
ইউজিসি বলছে, এক বছরের ব্যবধানে এসব উচ্চশিক্ষালয়ে শিক্ষার্থী বৃদ্ধি পেয়েছে প্রায় ১০ শতাংশ। ২০২১ সালে দেশে উচ্চশিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনাকারী ১০২টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল তিন লাখ ১০ হাজার ১০৭ জন। সেখান থেকে বেড়ে ২০২২ সালে ১০৪টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীর সংখ্যা দাঁড়ায় তিন লাখ ৪১ হাজার ৯৮। এক বছরের ব্যবধানে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী বেড়েছে ৩০ হাজার ৯৯১।
দেশে বর্তমানে অনুমোদিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা ১১০টি। এর মধ্যে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনায় থাকা ১০৪টি বিশ্ববিদ্যালয়ে সব মিলিয়ে শিক্ষার্থী প্রায় সাড়ে তিন লাখের মতো। এসকল শিক্ষার্থীদের মধ্যে এক তৃতীয়াংশই পড়ছেন ১০ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে— ইউজিসির ৪৯তম বার্ষিক প্রতিবেদন
উচ্চশিক্ষায় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতি শিক্ষার্থীদের আগ্রহ বাড়াতে প্রতিষ্ঠানগুলোর শিক্ষা-গবেষণার মান উন্নয়নের পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানগুলোর অবকাঠামোগত পূর্ণতা দান সহায়ক ভূমিকা রেখেছে বলে মনে করেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সদস্য অধ্যাপক বিশ্বজিৎ চন্দ্র।
তিনি বলেন, বেসরকারি অনেক বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা ও গবেষণায় কিছু কিছু পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের চেয়েও ভালো করছে। অনেক বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে বিদেশি ডিগ্রি ছাড়া শিক্ষক হয় না। সেক্ষেত্রে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার যোগ্য অনেক শিক্ষার্থী বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় বেছে নিচ্ছেন। তাদের সময়ও বেঁচে যাচ্ছে।
বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর স্থায়ী ক্যাম্পাস নিশ্চিত করাও শিক্ষার্থীদের আগ্রহের একটি কারণ বলে মত তার। তিনি বলেন, ক্যাম্পাস শিক্ষার্থীদের পরিচয় বহন করে। তাই স্থায়ী ক্যাম্পাসের প্রতি আকর্ষণ থাকে শিক্ষার্থীদের।