আইইউবির ক্লাসে ফিরলেন ড. সরোয়ার, উচ্ছ্বসিত শিক্ষার্থীরা
পাঠ্যবইয়ে ট্রান্সজেন্ডার ইস্যুতে কথা বলার পর তৈরি হওয়া উদ্ভূত পরিস্থিতির জেরে সাময়িকভাবে ড. মোহাম্মদ সরোয়ার হোসেনকে ক্লাস নেয়া থেকে বিরত রেখেছিল ইন্ডিপেন্ডেন্ট বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ (আইইউবি) কর্তৃপক্ষ। তবে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের প্রেক্ষিতে সপ্তাহ না পেরোতে এই শিক্ষককে ক্লাসে ফেরানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে।
আজ সোমবার (২৯ জানুয়ারি) ড. মোহাম্মদ সরোয়ার হোসেন ক্লাসে ফিরছেন। শিক্ষার্থীদের মাঝে আবারও ফিরে এসে নিজের আনন্দ প্রকাশ করেছেন আইইউবির স্কুল অফ এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড লাইফ সায়েন্সের সহযোগী অধ্যাপক ড. সারোয়ার হোসেন।
আরও পড়ুন: সোমবারই ক্লাসে ফিরছেন ড. সরোয়ার: আইইউবি প্রক্টর
ড. মোহাম্মদ সরোয়ার হোসেন জানিয়েছেন, তিনি সব সময়ই সত্য এবং ন্যায়ের পক্ষে ছিলেন। শিক্ষার্থীদের মাঝে নিজের উচ্ছ্বাস এবং কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। অন্যদিকে, ড. মোহাম্মদ সরোয়ারের ক্লাসে ফেরা নিয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন শিক্ষার্থীরাও।
ড. সারোয়ার হোসেনের ক্লাসে ফিরে আসার প্রতিক্রিয়া হিসাবে এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড লাইফ সায়েন্সের এক শিক্ষার্থী বলেন, আলহামদুলিল্লাহ আমরা যদি ঐক্যবদ্ধভাবে আন্দোলন করতে পারি, তাহলে সমস্ত বাতিল গোষ্ঠী আমাদের সামনে এভাবে মাথা নত করতে বাধ্য হবে ইনশাআল্লাহ।
সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী শুভ সরকার জানায়, ড. সারোয়ার স্যারের মত একজন মানুষকে আমরা নিজেদের শিক্ষক হিসাবে পাওয়া আমাদের জন্য গর্ব। ওনার এই ফিরে আসা অনেকজনকে এই মেসেজ দিলো শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মাধ্যমে সকল অপশক্তিকে দূর করা যায়।
জানা যায়, গত ১৯ জানুয়ারি রাজধানীর কাকরাইলে ইনস্টিটিউট অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্সে ‘বর্তমান কারিকুলামে নতুন পাঠ্যপুস্তক: বাস্তবতা ও ভবিষ্যৎ’ শীর্ষক সেমিনারে নতুন কারিকুলামের সপ্তম শ্রেণির ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান পাঠ্যবইয়ের শরীফ থেকে শরীফা হওয়ার গল্পের অংশটুকু প্রতিবাদ করেন ড. মোহাম্মদ সরোয়ার হোসেন। তার এ প্রতিবাদের ভিডিও ভাইরাল হয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে তাকে আর ক্লাসে না যাওয়ার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়।
এদিকে, এই সিদ্ধান্তের প্রেক্ষিতে গতকাল রবিবার (২৮ জানুয়ারি) বেলা ১১টা থেকে ক্লাস বর্জন করে ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরে আন্দোলন শুরু করেন বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষার্থীরা। পরে তাঁকে ক্লাসে ফেরানোর আশ্বাসে বেলা সাড়ে ১২টার দিকে শিক্ষার্থীরা কর্মসূচি তুলে নেন।
পরে রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. খসরু মোহাম্মদ সেলিম দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে জানিয়েছিলেন, দেশের একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে অপ্রীতিকর ঘটনা এড়ানোর জন্য সাময়িকভাবে তাঁকে ক্লাস থেকে বিরত থাকতে অনুরোধ করা হয়েছিলো। পরে বিভ্রান্তি দূর করার জন্য তাঁকে ক্লাস অব্যাহত রাখতে বলা হয়েছে। তিনি আগামীকাল সোমবার থেকে ক্লাসে ফিরছেন বলে এসময় জানিয়েছিল প্রক্টর।