ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির প্রেস রিলিজে ৩ সমস্যা চিহ্নিত আসিফ মাহতাবের
অব্যাহতি পাওয়া ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির ফিলোসোফির খণ্ডকালীন শিক্ষক আসিফ মাহতাবের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়টি আর চুক্তি নবায়ন করবে না। আজ সোমবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। সপ্তম শ্রেণির পাঠ্যবই ছিঁড়ে ফেলার যে ঘটনা ঘটিয়েছেন, সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সেটিকে ‘ধ্বংসাত্মক’ বলেছে ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি। তারা মনে করে, এটি ‘অশিক্ষকসুলভ আচরণ’।
তবে অব্যাহতিপ্রাপ্ত খণ্ডকালীন শিক্ষক আসিফ মাহতাব ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির এই সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ৩টি সমস্যা চিহ্নিত করেছেন। আজ সন্ধ্যায় তার ফেসবুকে পেজে তিনি লিখেন, একজন দার্শনিক হিসেবে আমি স্পষ্ট কিছু সমস্যা দেখতে পাচ্ছি। সেগুলো হচ্ছে-
১) ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয় প্রকাশ্যে এবং জনসম্মুখে স্বীকার করেছে যে তারা আমাকে কাজ করিয়েছে এবং আমার মেধা সম্পত্তি ব্যবহার করেছে;
২) যেহেতু তারা স্বীকার করেছে যে তারা আমাকে কাজ করিয়েছে এতে পরিষ্কারভাবে প্রমাণিত হয়ে যায় যে, তাদের সাথে আমার একটি মৌখিক, ইমপ্লাইড এবং ইলেকট্রনিক চুক্তি ইতিমধ্যে ছিলই। কারণ তা যদি নাই থাকে তাহলে কেনই বা আমি আমার মূল্যবান সময় ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ে কাজ করতে ব্যয় করলাম?
৩) যেহেতু ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি তাদের সর্বশেষ প্রেস রিলিজ থেকে নিজেই স্বীকার করেছে যে তারা আসলে আমাকে কাজ করিয়েছে যার মানে মৌখিক, ইমপ্লাইড এবং ইলেকট্রনিক চুক্তি আগের থেকেই ছিল। আর যদি আগের থেকে চুক্তি থাকেই তাহলে আবার চুক্তি রিনিউ করার প্রশ্ন কি করে আসে?
জানা যায়, নতুন শিক্ষাক্রমের আলোকে সপ্তম শ্রেণির ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান বইয়ের একটি অধ্যায়ে হিজড়া জনগোষ্ঠী সম্পর্কে জনসচেতনতামূলক একটি পাঠ রয়েছে। এ নিয়ে বিতর্ক চলছে। বিষয়টি নতুন করে সামনে আসে ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির সদ্য সাবেক একজন খণ্ডকালীন শিক্ষক একটি অনুষ্ঠানে ওই বইয়ের পাতা ছিঁড়ে ফেলার পর। ওই ঘটনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।
সম্প্রতি ওই ঘটনার ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি এক বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছিল, আসিফ মাহতাব ব্র্যাক ইউনিভার্সিটিতে খণ্ডকালীন শিক্ষক হিসেবে কাজ করেছেন। বর্তমানে তাঁর সঙ্গে ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির কোনো চুক্তি নেই। এদিকে, আজ সোমবার ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির এক প্রেস রিলিজে শিক্ষক আসিফ মাহতাবের চুক্তি নবায়ন করবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে।