ক্লাস বর্জনের ঘোষণা আইইউবি শিক্ষার্থীদের
ইন্ডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশের (আইইউবি) স্কুল অফ এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড লাইফ সায়েন্সের সহযোগী অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সরোয়ার হোসেনকে ক্লাসে ফেরাতে কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন শিক্ষার্থীরা। তারা ড. সরোয়ারকে ক্লাসে ফেরাতে ক্লাস বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন। একইসঙ্গে ডাক দিয়েছেন অবস্থান কর্মসূচিরও।
রবিবার (২৮ জানুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়টির ৪ নম্বর গেটে শিক্ষার্থীদের অবস্থান কর্মসূচি শুরু হবে। এদিন সকাল ১১টা থেকে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে তারা এ কর্মসূচি পালন করবেন।
বিশ্ববিদ্যালয়টির এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘‘অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সরোয়ার হোসেনকে ক্লাসে ফেরানোর দাবিতে শিক্ষার্থীরা ক্লাস বর্জন করেছেন। আমাদের শিক্ষককে ক্লাসে ফেরানোর আগ পর্যন্ত এ কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে। আজকের মধ্যে দাবি মেনে নেওয়া না হলে ভবিষ্যতে সকল বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা মাঠে নেমে আসবে।’’
এর আগে গত শুক্রবার রাজধানীর কাকরাইলে ইনস্টিটিউট অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্সে ‘বর্তমান কারিকুলামে নতুন পাঠ্যপুস্তক: বাস্তবতা ও ভবিষ্যৎ’ শীর্ষক সেমিনারে নতুন কারিকুলামের সপ্তম শ্রেণির ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান পাঠ্যবইয়ের শরীফ থেকে শরীফা হওয়ার গল্পের অংশটুকু প্রতিবাদ করেন ড. মোহাম্মদ সরোয়ার হোসেন। তার এ প্রতিবাদের ভিডিও ভাইরাল হয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।
এরপর একই ঘটনায় ইন্ডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশের (আইইউবি) স্কুল অফ এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড লাইফ সায়েন্সের সহযোগী অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সরোয়ার হোসেনকে আর ক্লাসে না যাওয়ার জন্য জানিয়ে দেয় বিশ্ববিদ্যালয়টি।
বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কারের বিষয়ে জানতে ড. মোহাম্মদ সরোয়ার হোসেনকে মেইল করা হলে তিনি প্রতিউত্তরে বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় আমাকে এখনো অফিশিয়ালি টার্মিনেট করেনি। লেটার পাইনি। তবে সব ক্লাস থেকে আমাকে প্রত্যাহার করেছে যা দুঃখজনক’।
এ বিষয়ে জানতে যোগাযোগ করা হলে ইনডিপেন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটি (আইইউবি) প্রক্টর অধ্যাপক খসরু মোহাম্মদ সেলিম দ্য ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, ডক্টর মোহাম্মদ সরোয়ার হোসেনকে ক্লাস থেকে প্রত্যাহারের কোনো আনুষ্ঠানিক চিঠি ইস্যুি হয়নি। এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক চিঠি আসলে তখন আমরা নিশ্চিত হতে পারবো।