অগ্নিকাণ্ডের চারদিন পরও খোঁজ মেলেনি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রীর
রাজধানীর বেনাপোল এক্সপ্রেসে অগ্নিকাণ্ডের পর চারদিন পার হলেও নিখোঁজ রয়েছেন ইউনিভার্সিটি অব এশিয়া প্যাসিফিকের ছাত্রী চন্দ্রিমা চৌধুরী। নিখোঁজ চন্দ্রিমার খোঁজে হাসপাতালের দ্বারে দ্বারে ঘুরছে পরিবার। অগ্নিকান্ডের দিন তিনি ওই ট্রেনে রাজবাড়ী থেকে ঢাকায় ফিরছিলেন। ট্রেনে অগ্নিকাণ্ডের ১৫-২০ মিনিট আগেও চন্দ্রিমার সাথে তার বড় ভাইয়ের কথা হয়। তবে অগ্নিকাণ্ডের পর থেকে তার খোঁজ মিলছে না।
নিখোঁজ চন্দ্রিমা চৌধুরী ইউনিভার্সিটি অব এশিয়া প্যাসিফিকের ফার্মেসি বিভাগের ছাত্রী। তিনি রাজধানীর ফার্মগেট এলাকায় তার বড় ভাইয়ের বাসায় থাকতেন। এখানে থেকে তিনি পড়ালেখা করতেন।
নিখোঁজ চন্দ্রিমা চৌধুরী সৌমির ভাই চিকিৎসক দিবাকর চৌধুরী বলেন, ‘আমরা এখনও চন্দ্রিমাকে জীবিত ফিরে পাওয়ার আশায় আছি। তাঁকে যেন এভাবে (লাশ) ফেরত পেতে না হয়’
সোমবার তিনি তাঁর মাকে নিয়ে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগে (সিআইডি) ডিএনএ নমুনা দিতে যান। মৃতদের মধ্যে সৌমি আছেন কিনা তা নিশ্চিত হতেই এ ডিএনএ পরীক্ষা।
গত শুক্রবার রাতে গোপীবাগে ট্রেনে আগুন লাগার পর পুড়ে অঙ্গার হওয়া চারটি দেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস। এখনও তাদের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে নিখোঁজ রয়েছেন চারজন। গতকাল তাদের দু’জনের পরিবারের সদস্যদের কাছ থেকে ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করা হয়। আজ মঙ্গলবার আরও দু’জনের স্বজন নমুনা দেবেন।
তদন্ত সংশ্লিষ্টদের আশঙ্কা, নিখোঁজ ব্যক্তিরা হয়তো বেঁচে নেই। তবু আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অনুরোধে মৃতদেহের পরিচয় শনাক্তের সুবিধার্থে তারা ডিএনএ নমুনা দেন।
সিআইডির ডিএনএ ল্যাবের অ্যানালিস্ট আহমেদ ফেরদৌস বলেন, আদালত থেকে অনুমতি নিয়ে গতকাল চারটি মরদেহের ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। এছাড়া দুটি পরিবারও তাদের ডিএনএ নমুনা দিয়ে গেছেন। তাদের রক্ত ও হাত থেকে নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। রিপোর্ট পেতে ৩ থেকে ৪ সপ্তাহ লাগতে পারে। তারপরও যত তাড়াতাড়ি সম্ভব রিপোর্ট দেওয়া হবে।
এর আগে শুক্রবার রাত ৯টার দিকে রাজধানীর গোপীবাগ এলাকায়‘বেনাপোল এক্সপ্রেস’ ট্রেনের ৫টি বগিতে আগুন আগুন লাগার ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় এক শিশুসহ চারজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।