হো চি মিন ইস্যুতে যা বলছে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়
নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ পেয়েও ট্রান্সজেন্ডার হো চি মিন ইসলামের বক্তব্য দিতে না পারার বিষয়ে নিজেদের অবস্থান তুলে ধরেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। রবিবার (২৬ নভেম্বর) সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক বিবৃতিতে নিজেদের অবস্থান জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
বিবৃতিতে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় বলেছে, ‘আমরা এই অনুষ্ঠানে হো চি মিন ইসলামের অংশগ্রহণ বিষয়ে জনগণের ভিন্ন মতামতকে সম্মান করি। এই দৃষ্টিভঙ্গিগুলো আমাদের সমাজের বিভিন্ন বিশ্বাস ও মূল্যবোধকে প্রতিফলিত করে। দৃষ্টিভঙ্গির বিস্তৃতি ও সংলাপকে উৎসাহিত করতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ শিক্ষার শক্তিতে বিশ্বাস করে। হো চি মিনের অংশগ্রহণের উদ্দেশ্য ছিল, কর্মক্ষেত্রে প্রান্তিক সম্প্রদায়ের অর্জন তুলে ধরা।’
অনুষ্ঠানে হো চি মিন অন্যতম বক্তা হলেও কিছু অপ্রত্যাশিত ঘটনার ফলে নির্ধারিত আলোচনা বাতিল করা হয় বলে বিশ্ববিদ্যালয়টির বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, বক্তা ও আয়োজক উভয়ের জন্য দুঃখজনক এই ঘটনাকে বিশ্ববিদ্যালয় বিবেচনায় নিয়েছে।
এ ঘটনা সম্পর্কে ভুল তথ্য ছড়ানো হচ্ছে বলেও বিবৃতিতে উল্লেখ করেছে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়। উদাহরণ টেনে তারা বলেছে, বলা হচ্ছে, হো চি মিনের আলোচনা বাতিল করেছে উপাচার্য কার্যালয়। অথচ উপাচার্য আতিকুল ইসলাম ওই সময় দেশের বাইরে ছিলেন। এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্তমানে কোনো উপ–উপাচার্যও নেই।
গত শুক্রবার (২৪ নভেম্বর) দুই দিনব্যাপী উইমেন্স ক্যারিয়ার কার্নিভালের আয়োজন করে হিরোস ফর অল (এইচএফএ) ও আই-সোশ্যাল। নেটওয়ার্কিং, লার্নিং এবং পেশাগত উন্নয়নের মাধ্যমে নারীর ক্ষমতায়নে লক্ষ্যে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় দিন শনিবার হো চি মিনের বক্তব্য দেওয়ার কথা ছিল।
অনুষ্ঠানে চারজন নারী অধিকার কর্মীকে আলোচক হিসেবে আমন্ত্রণ জানানো হয়। এদের মধ্যে ট্রান্সজেন্ডার হোচিমিন ইসলাম ছাড়াও ছিলেন ব্র্যাক মাইক্রোফাইন্যান্সের জেন্ডার ইনক্লুশন অ্যান্ড উইমেন অন্ট্রপ্রোনারশিপ ইউনিটের সিনিয়র ম্যানেজার কাশফি বিনতে আহমেদ, আজিমুর রোকিয়া রহমান ট্রাস্টের ফাইজা রহমান ও উদ্যোক্তা জেরিন মাহমুদ হোসেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি সূত্রে জানা যায়, এ অনুষ্ঠানে আলোচক হিসেবে ট্রান্সজেন্ডার হোচিমিন ইসলামের আমন্ত্রণের বিষয়টি জানাজানি হলে শিক্ষার্থীরা নর্থ সাউথ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাকে না আনার বিষয়ে মতামত জানান। একইসঙ্গে শিক্ষার্থীদের একটি অংশ হোচিমিনের বিপক্ষে ব্যানার-ফেস্টুন নিয়ে ক্যাম্পাসে অবস্থান নেন। পরে তাদের দাবির মুখে হোচিমিনের সেশন বাতিল হয়ে যায়।