আইইউটিতে বহিষ্কৃত হয়ে বিদেশি শিক্ষার্থীর আত্মহত্যার চেষ্টা
বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার করায় আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) এক পাকিস্তানি শিক্ষার্থী। বর্তমানে তিনি আইসিইউতে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
শুক্রবার বিশ্ববিদ্যালয়ের হলে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন ওই শিক্ষার্থী। বর্তমানে গাজীপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালের চিকিৎসা চলছে তার।
আত্মহত্যার চেষ্টা করা ওই শিক্ষার্থীর নাম মির্জা আকিল। তিনি আইইউটির ইলেক্ট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেক্ট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই) বিভাগের শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরের আগস্টে একাধিক দাবিতে আইইউটিতে অধ্যয়নরত বিদেশি শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করেছিলেন। সেই আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন আকিল। এই ঘটনার জেরে ২৯ শিক্ষার্থীকে শাস্তির আওতায় আনে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
গত ১০ নভেম্বর আইইউটির রেজিস্ট্রার মিউবেসা উমার স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এই শাস্তির কথা জানানো হয়।
রেজিস্ট্রারের পাঠানো চিঠিতে মির্জা আকিল ও আরেক বিদেশি শিক্ষার্থী আবুবকর সিল্লাহকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্থায়ী বহিষ্কারের বিষয়টি জানানো হয়। ওআইসি হেডকোয়ার্টারের নির্দেশনা অনুযায়ী এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলেও চিঠিতে উল্লেখ করা হয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আইইউটির আফগানিস্তানের এক শিক্ষার্থী দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, আকিল ও সিল্লাহকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়। সিল্লাহ আফ্রিকায় ফিরে গেলেও আকিল ভেঙে পড়েছিল। বহিষ্কারের বিষয়টি সে মেনে নিতে না পারায় গতকাল আত্মহত্যার চেষ্টা করে।
ওই শিক্ষার্থী আরও বলেন, আকিলকে গাজীপুরের ইন্টারন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সেখানে আইসিইউতে রয়েছেন আকিল।
এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের কারো বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।