কনস্ট্রাকশন সাইটের ছাদ থেকে পড়ে স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীর মৃত্যু
সাভারে নির্মাণাধীন ৫ তলা কনস্ট্রাকশন সাইটের ছাদ থেকে পড়ে স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটির সিভিল বিভাগের এক শিক্ষার্থী মারা গেছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার (২৩ নভেম্বর) সকালে কর্তব্যরত অবস্থায় ভবনের ছাদ থেকে পড়ে মারাত্মকভাবে আহত হন তিনি। পরে হাসপাতালে নেওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন বলে জানিয়েছেন তার সহপাঠীরা।
মৃত ওই শিক্ষার্থীর নাম মো. হামিদ। তিনি স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটির সিভিল বিভাগের ৬০ ব্যাচের শিক্ষার্থী ছিলেন।
জানা যায়, হামিদের গ্রামের বাড়ি কিশোরগঞ্জ জেলায়। তারা পাঁচ ভাই-বোন ছিলেন। তার বিয়ে হয়েছিল ২ মাস ১০ দিনের মত। বিয়ের ২ দিনের মাথায় তারা বাবা মারা যায়। এজন্য পরিবারের অনেকটা বোঝা তার ঘাড়ে এসে পড়ে। কিন্তু গতকাল তার স্ত্রীকে বিধবা করে মৃত্যুবরণ করেন তিনি। পরে তাকে আজিমপুর কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।
এ বিষয়ে সিভিল বিভাগের শিক্ষার্থী ও তার সহপাঠী মো. নাইমুর রহমান বলেন, আমরা ধারণা করছি এটা পরিকল্পিত হত্যা। কারণ যেখান থেকে হামিদ পড়ে গেছেন সেখানে তার যাওয়ার কথাই ছিল না।
স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটির সিভিল ফোরামের সেক্রেটারি আব্দুল্লাহ আল সাকিব বলেন, হামিদ ভাই খুব মেধাবী শিক্ষার্থী হওয়ার পাশাপাশি খুব ভালো একজন মানুষ ছিলেন। গতকাল তার সাভারের ৫ তলা সাইটের ছাদ থেকে পড়ে মারাত্মকভাবে আহত হওয়ার পরে মৃত্যুর সংবাদ শুনি।
স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটির সিভিল ফোরাম ও অ্যাল্যামনাই অ্যাসোসিয়েশনের ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি আজিজুল ইসলাম আজিজ বলেন, হামিদের মৃত্যুতে সত্যিই আমরা মর্মাহত। আমরা সবাই গভীর শোক জ্ঞাপন ও তার রুহের মাগফেরাত কামনা করছি।
হামিদের মৃত্যুতে ইউনিভার্সিটির তার বিভাগের শিক্ষকসহ অন্যান্য বিভাগের শিক্ষকরা শোক প্রকাশ করেন। এছাড়া আজকে জুমার নামাজের পর ক্যাম্পাসের মসজিদে তার জন্য বিশেষ দোয়া ও মোনাজাতের আয়োজন করা হয়।
হামিদের মৃত্যুতে সিভিল বিভাগের চেয়ারম্যান সহযোগী অধ্যাপক ফারহানা চৌধুরী শোক জানিয়ে বলেন, আমরা শুনেছি হামিদ আমাদের মাঝে আর নেই। আমরা সত্যি একজন মেধাবী শিক্ষার্থীকে হারিয়ে শোকাহত। আমরা তাঁর পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে বিদায় আত্মার মাগফেরাত কামনা করি।