ড্যাফোডিল ইউনিভার্সিটিতে দুদিনব্যাপী জব উৎসব শুরু
ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে (ডিআইইউ) দুদিনব্যাপী “ডিআইইউ জব উৎসব ২০২৩” শুরু হয়েছে। আজ শুক্রবার (২৪ নভেম্বর) দক্ষ ও যোগ্য মানব সম্পদ তৈরির মাধ্যমে জাতীয় অর্থনীতিতে অবদান রাখার লক্ষ্যকে সামনে রেখে দ্বিতীয় বারের মতো বাংলাদেশের অন্যতম বৃহৎ এই জব উৎসবের আয়োজন করেছে ডিআইইউ।
সাভারের বিরুলিয়ায় ড্যাফোডিল স্মার্ট সিটিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাধীনতা সম্মেলন কেন্দ্রে দুদিনব্যাপী এই আয়োজনের উদ্বোধন করেন শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব জনাব সাইফ উদ্দীন আহমেদ। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম লুৎফর রহমান।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান ড. মো. সবুর খান এবং ড্যাফোডিল পরিবারের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. মোহাম্মদ নুরুজ্জামান।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব জনাব সাইফ উদ্দীন আহমেদ বলেন, বিশ্বায়নের এ যুগে প্রযুক্তি ও কারিগরি দক্ষতার পাশাপশি সফট স্কিলসমূহ বর্তমান চাকরি বাজারের প্রধান হাতিয়ার। তাই একুশ শতকের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় লেখাপড়ার পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের এ দক্ষতা অর্জনের উপর গুরুত্ব দেওয়ার আহবান জানাচ্ছি।
উদ্বোধন পরবর্তী “বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অবস্থার পর্যালোচনা: প্রভাবশালী শিল্পের জন্য অন্তদৃষ্টি” শীর্ষক প্রেসিডেন্টস টক সেশনে প্যানেল ডিসকাসেন্ট হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই) সভাপতি সামীর সাত্তার, বেসিসের সভাপতি রাসেল টি আহমেদ, বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতির সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার সুব্রত সরকার, বাংলাদেশ হিউম্যান সোসাইটি ফর হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্টের (বিএসএইচ আরএম) সভাপতি মাশেকুর রহমান খান, সিটিও ফোরামের প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি তপন কান্তি সরকার এবং আইআইএফসি’র নির্বাহী পরিচালক জসিম উদ্দীন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ক্যারিয়ার ডেভেলাপমেন্ট সেন্টারের পরিচালক ড. তানভীর ফিত্তিন আবীর।
জব উৎসবে ২০০টি প্রতিষ্ঠানের নিয়োগকর্তারা প্রায় ৩ হাজার চাকরি এবং প্রায় ১ হাজারটি ইন্টার্নশিপ অফার নিয়ে উপস্থিত হন। দুদিনের এই জব উৎসবে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ডিপার্টমেন্টের চুড়ান্ত বর্ষের কিংবা সম্প্রতি গ্রাজুয়েশন সম্পন্ন করা কমপক্ষে ৪ হাজার ২০০ চাকরি প্রত্যাশী অংশগ্রহণ করেন।
এছাড়াও এই জব উৎসবে ২০ হাজার ৪০০ শিক্ষার্থীর স্ব-মূল্যায়ন প্রশিক্ষণ, অন-ক্যাম্পাস জব, ইন্টার্নশিপ, চাকুরি পরিবর্তন, কর্মসংস্থানের দক্ষতা পরীক্ষা এবং আ্যালামনাই ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সাথে নেটওয়ার্ক তৈরির সুযোগ সৃষ্টি হয়। আর এ আয়োজনের নলেজ পার্টনার হিসেবে রয়েছে গো-এডু, এইচআরডিআই এবং এডমিশন ডট এসি।
বিগত বছরের ইভেন্টের সাফল্যের উপর ভিত্তি করে, এ বছরের জব উৎসবের জন্য শীর্ষ সংস্থা এবং মেধাবী ছাত্রদের আরও বেশি চিত্তাকর্ষক সমাবেশের জন্য প্রস্ততি নেয়া হয়। এবারের আয়োজনের পার্টনার হিসেবে রয়েছে ঢাকা চেম্বার অবকমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রিজ (ডিসিসিআই), বাংরাদেশ কম্পিউটার সমিতি (বিসিএস), বাংলাদেশ এসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস),এএমসিএইচএএম, বাংলাদেশ সোসাইটি ফর হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট (বিএসএইচআরএম), সিটিও ফোরাম বাংলাদেশ, ই-ক্যাব, বাক্কো।