টিউশনি করে পড়াশোনার খরচ চালানো জুয়েল পেলেন ভিসি অ্যাওয়ার্ড
রাজধানীর বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ‘শান্ত-মারিয়াম ইউনিভার্সিটি অব ক্রিয়েটিভ টেকনোলজি’ থেকে আইন নিয়ে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেছেন জুয়েল আহমেদ। বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে টিউশনি করে পড়াশোনার খরচ বহন করেছেন নিজেই। তার বাড়ি লালমনিরহাটে। সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়টির তৃতীয় সমাবর্তনে ভাইস চ্যান্সেলর অ্যাওয়ার্ড (গোল্ড মেডেল) পেয়েছেন তিনি।
দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন তার জীবনের গল্প। তিনি জানান, উওরবঙ্গের মধ্যবিত্ত পরিবার থেকে উঠে এসে প্রাইভেট ইউনিভার্সিটিতে পড়াশোনা করায় আমার প্রচুর পরিমাণ খরচ লেগেছে। এই খরচ আমি টিউশনি করে জোগাড় করেছি। মা, বাবা, ভাই বোনও আমাকে সাপোর্ট করেছে। বাংলাদেশে যারা ভালো আইনজীবীদের কাছে যেতে পারবেন না টাকার অভাবে; আমার ইচ্ছে আছে তাদের জন্য আমার (সার্ভিস) ফি পুরোটাই মওকুফ থাকবে এবং আমি আইনগতভাবে তাদের সর্বোচ্চ সহযোগিতা করবো।
গোল্ড মেডেল পাওয়ার অনুভূতি জানতে চাইলে জানান, আলহামদুলিল্লাহ আমি আজকে আমার ইউনিভার্সিটি থেকে ভাইস চ্যান্সেলর অ্যাওয়ার্ড পেলাম এর অনুভূতি আসলে ভাষায় প্রকাশ করার মতো নয়। এটা আসলেই খুব আনন্দের ব্যাপার কারণ অনেক চড়াই-উতরাই পেরিয়ে আজকে আমি এখানে। কষ্টের পরে যে একটা সাফল্য আসে এটা সত্য কথা।
নবীনদের উদ্দেশ্য তিনি বলেন, কষ্ট করলে যে একটা সফলতা আসে এটা তার একটা প্রমাণ। কোনো কিছুর প্রতি যদি লেগে থাকা যায় সফলতা আসবেই। আমার লক্ষ্য ছিল যে আমি আমার ডিপার্টমেন্টে ভালো একটা ফল করবো।
“আইনজীবী এটি সেবামূলক পেশা। আমার লক্ষ্য ভালো মানুষের মতো মানুষ হয়ে গরীব-দুঃখীদের সেবা করবো। আমি এখনো সেটা করে যাচ্ছি আমার গ্রামে যদি কেউ কোনো জমি নিয়ে সমস্যাতে পড়ে আমার বাসায় যারা আসে, আমি তাদের সর্বোচ্চ সহযোগিতা করার চেষ্টা করি।
গত সোমবার রাজধানীর অদূরে পূর্বাচলে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ–চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিভিশন সেন্টারে আয়োজিত বিশ্ববিদ্যালয়টির সমাবর্তনে ছয় হাজারের বেশি শিক্ষার্থীকে সনদ প্রদান করা হয়। সমাবর্তনে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করা ছয় হাজারের বেশি শিক্ষার্থীকে সনদ প্রদান করা হয়। পাশাপাশি পাঁচ ক্যাটাগরিতে স্বর্ণপদকসহ মোট ৩১টি সম্মানসূচক পদক, যেমন চ্যান্সেলরস পদক, বোর্ড অব ট্রাস্টিজ পদক, ভাইস চ্যান্সেলরস, ডিন পদকসহ বিভিন্ন পদক প্রদান করা হয়।