স্থায়ী ক্যাম্পাসে যেতে ৪২ দিন সময় বাকি আশা ও স্টামফোর্ডের
নির্ধারিত সময়ে স্থায়ী ক্যাম্পাসে শিক্ষাসহ সব কার্যক্রম স্থানান্তরে ব্যর্থ হওয়ায় বছরের শুরুতে শিক্ষার্থী ভর্তি বন্ধ রাখার মতো কঠোর শাস্তির মুখে পড়ে বেসরকারি স্টামফোর্ড ও আশা ইউনিভার্সিটি। এরপর উচ্চশিক্ষালয় দুটি স্থায়ী ক্যাম্পাসে যেতে সময় চেয়ে লিখিত আবেদন করলে তাদেরকে চলতি বছরের শেষ দিন পর্যন্ত সময় দেয় দেশের উচ্চশিক্ষার তদারক সংস্থা বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন (ইউজিসি)।
বছরের শুরুর দিকের ওই চিঠিতে স্থায়ী ক্যাম্পাসে যাওয়ার ক্ষেত্রে এক থেকে দেড় বছরের সময় চেয়ে ইউজিসিতে আবেদন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় দুটি। চিঠিতে তারা স্থায়ী ক্যাম্পাস নির্মাণ কাজ শুরু করেছে বলে জানায়। আবেদনের প্রেক্ষিতে তখন স্থায়ী ক্যাম্পাস নির্মাণের কাজ সরেজমিনে পরিদর্শনও করে ইউজিসি।
নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো স্থায়ী ক্যাম্পাসে যেতে না পারলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। প্রয়োজনে তাদের শিক্ষার্থী ভর্তি বন্ধ করা হতে পারে—ড. বিশ্বজিত চন্দ, সদস্য, ইউজিসি।
এবার নতুন করে আবারও উচ্চশিক্ষালয়গুলোর সময় বাড়ানোর তোড়জোড় শোনা যাচ্ছে। তবে সময় বাড়ানো নিয়ে এবারও বরাবরের মতো কঠোর অবস্থানে রয়েছে কমিশন। তারা জানিয়েছে, প্রয়োজনে আবারও ভর্তি বন্ধের মতো কঠোর সিদ্ধান্ত নিতেও পিছপা হবে না ইউজিসি। স্থায়ী ক্যাম্পাসে যেতে সবমিলিয়ে আর ৪২ দিন সময় পাচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয় দুটি।
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন অনুযায়ী, প্রতিষ্ঠার সাত বছরের মধ্যেই অনুমোদিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে স্থায়ী ক্যাম্পাসে যেতে হবে এবং এ মর্মে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনার অনুমতি দেওয়া হয় দেশৈার উচ্চশিক্ষালয়গুলোকে। নিয়েমের প্রতিপালন না হলে বিশ্ববিদ্যালয় কার্যক্রম বা সাময়িক অনুমতিপত্র বাতিল করার সুযোগ রয়েছে দেশের উচ্চশিক্ষার তদারক সংস্থা ইউজিসির।
ইউজিসি সূত্রে জানা গেছে, স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটি তাদের সম্পূর্ণ শিক্ষা কার্যক্রম স্থায়ী ক্যাম্পাসে স্থানান্তরের ক্ষেত্রে সময় চেয়ে আবেদন করেছিল ২০২৩ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত। আর আশা ইউনিভার্সিটি এক থেকে দেড় বছরের মধ্যে স্থায়ী ক্যাম্পাসে যাবে বলে ইউজিসিকে লিখিতভাবে জানিয়েছে। সবশেষ অবস্থা বলছে, স্থায়ী ক্যাম্পাসে আংশিক শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করেছে আশা ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ। আর এখনও অস্থায়ী ক্যাম্পাসেই পাঠদান করছে স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ।
ক্যাম্পাস নির্মাণের অগ্রগতির বিষয়ে জানতে চাইলে আশা ইউনিভার্সিটির এক কর্মকর্তা নাম অপ্রকাশিত রাখার শর্তে দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, আমাদের স্থায়ী ক্যাম্পাস নির্মাণের কাজ চলছে। আশা করছি আগামী বছরের শুরুর দিকে আমাদের পুরো শিক্ষা কার্যক্রম স্থায়ী ক্যাম্পাসে পরিচালনা করতে পারব। এখন সেখানে একটি ভবনে পাঠদান শুরু হয়েছে।
আর স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটির উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ইউনুছ মিয়া এ নিয়ে মোবাইল ফোনো কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
আরো পড়ুন: সিট ফাউন্ডেশনের সনদে এমপিওভুক্ত হওয়া নিয়ে বিপাকে শিক্ষকরা
এ বিষয়ে ইউজিসির (বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়) সদস্য অধ্যাপক ড. বিশ্বজিৎ চন্দ দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে জানিয়েছেন, আশা এবং স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটি স্থায়ী ক্যাম্পাসে যাওয়ার ক্ষেত্রে আমাদের কাছে লিখিতভাবে আবেদন করেছে। আমরা তাদের আবেদন এবং ক্যাম্পাস নির্মাণ কাজের অগ্রগতির প্রেক্ষিতে চলতি বছরের শেষদিন পর্যন্ত সময় দিয়েছিলাম। এর মধ্যে তারা স্থায়ী ক্যাম্পাসে যেতে না পারলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। প্রয়োজনে তাদের শিক্ষার্থী ভর্তিও বন্ধ হতে পারে বলেও জানান তিনি।