অ্যাওয়ার্ডের নামে বিদেশে অর্থ পাচার লিডিং ইউনিভার্সিটির ভিসির
লিডিং ইউনিভার্সিটির উপাচার্যের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্যের অুমোদন ছাড়া বিদেশে অর্থ পাঠানোর অভিযোগের সত্যতা পেয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন (ইউজিসি)। রোববার এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে সতর্ক করে চিঠি পাঠিয়েছে ইউজিসি।
জানা গেছে, বেস্ট ইউনিভার্সিটি অ্যাওয়ার্ড নামে একটি পদক পাওয়ার জন্য অক্সফোর্ড অ্যাওয়ার্ড এজেন্সি লিমিটেড নামে একটি কোম্পানির কাছে টাকা পাঠান লিডিং ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক কাজী আজিজুল মওলা। এ জন্য তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্যের কাছ থেকে কোনো অনুমোদন নেননি। একই সাথে নিয়মবহির্ভূতভাবে নিজের বেতন বাড়িয়েছেন তিনি।
পরবর্তীতে বিষয়টি অনুসন্ধানে মাঠে নামে ইউজিসি। গত ২৭ জুলাই ইউজিসির সদস্য প্রফেসর আবু তাহেরের নেতৃত্বে ইউজিসির একটি দল সরেজমিনে বিশ্ববিদ্যালয় প্রদর্শন করেন। তদন্তে উপাচার্যের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের সত্যতা পায় কমিটি। কমিটির সুপারিশের আলোকে গতকাল রোববার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে চিঠি পাঠানো হয়।
এ বিষয়ে ইউজিসি সদস্য (বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়) অধ্যাপক বিশ্বজিৎ চন্দ দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, ‘লিডিং ইউনিভার্সিটির পরিচালনার মান খুবই খারাপ। তাদের দুটি গ্রুপের বিরুদ্ধে অসংখ্য অভিযোগ। এসব অভিযোগের সত্যতাও পাওয়া গেছে। আমরা তাদের সতর্ক করে চিঠিও দিয়েছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের সতর্ক করার পরও তারা না সুধরালে আমরা আরও কঠোর ব্যবস্থা নেব। প্রয়োজন হলে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইনের ৩৭(৭) ধারা অনুযায়ী তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
ইউজিসির বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় শাখার পরিচালক ওমর ফারুক স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয়েছে, ‘লিডিং ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক কাজী আজিজুল মওলা বেস্ট ইউনিভার্সিটি অ্যাওয়ার্ড নামে একটি পদক পাওয়ার জন্য অক্সফোর্ড অ্যাওয়ার্ড এজেন্সি লিমিটেড নামে একটি কোম্পানির কাছে টাকা পাঠান। এ জন্য তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্যের কাছ থেকে কোনো অনুমোদন নেননি। এতে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইনের লঙ্ঘন হয়েছে।’
‘অর্থ কমিটি ও সিন্ডিকেটের অনুমোদন ছাড়া বেতন বৃদ্ধি কোনোভাবেই কাম্য নয়। তা ছাড়া, সুনির্দিষ্ট চুক্তি ছাড়া কোনো ব্যক্তির আয়কর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ তহবিল থেকে দেওয়ার সুযোগ নেই।’