সন্তানের ‘ক্ষতিকর কাজে জড়ানো’র তথ্য জানানো যাবে বিশ্ববিদ্যালয়কে
ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির কার্যক্রম পরিচালনায় শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের সহায়তা চেয়েছে কর্তৃপক্ষ। এখন থেকে শিক্ষার্থীরা কোনো ধরনের ক্ষতিকর কাজে জড়াচ্ছে কিনা, তা অভিভাবকরা সরাসরি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে জানাতে পারবেন। বুধবার (০৮ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম লুৎফর রহমান স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
অভিভাবকদের উদ্দেশ্যে দেওয়া বিবৃততে বলা হয়েছে, আমাদের সন্তানদের সুন্দর ভবিষ্যৎ গড়ে তোলার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশাপাশি পরিবারের ভূমিকা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সব সময় আপনাদের সবার কাছে সহযোগিতা কামনা করে।
এতে বলা হয়েছে, ‘‘অনেক সময় ছাত্ররা বুঝে অথবা না বুঝে অনেক ধরনের ক্ষতিকর কাজে নিজেকে জড়িয়ে ফেলে। প্রয়োজনে আপনার সন্তানদের যে কোন প্রকার সমস্যা অথবা উদ্বেগজনক কার্যকলাপ, প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ঘটনা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে জানানো যাবে’’।
সম্প্রতি এলাকাবাসীর হাতে নিহত বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মো. হাসিবুল হাসানের (অন্তর) মৃত্যুর ঘটনা স্মরণ করে বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ড্যাফোডিল তার সব শিক্ষার্থীদের জন্য একটি নিরাপদ ক্যাম্পাস বলে স্বীকৃত। যে দুর্ভাগ্যজনক ঘটনাটি ঘটেছে তা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের নিয়ন্ত্রণের বাইরে ছিল। কারণ এটি আমাদের ক্যাম্পাসের বাইরে ঘটেছিল, যা ক্যাম্পাসের সীমানা থেকে কয়েক কিলোমিটার দূরে।
আরও পড়ুন: ছাত্রহত্যা ও সংঘর্ষের পর বন্ধ হলো ড্যাফোডিল ইউনিভার্সিটি
‘‘ভবিষ্যতে এ ধরনের পরিস্থিতিকে সঠিকভাবে মোকাবিলা করতে এবং শিক্ষার্থীদের সকল প্রকার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় সতর্কতা পূর্বের থেকে আরো বাড়িয়ে দিয়েছে। আমরা ক্যাম্পাসের মধ্যে এবং ক্যাম্পাসের আশেপাশে একটি নিরাপদ পরিবেশ বজায় রাখতে সম্পূর্ণরূপে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং আমাদের নিরাপত্তা দল সব সময় সর্বোচ্চ সতর্কতা এবং দক্ষতার সাথে যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবেলায় প্রস্তুত রয়েছে।’’
অভিভাবকরা যেভাবে তাদের সন্তানদের তথ্য বিশ্ববিদ্যালয়কে জানাবেন: ই-মেইল ঠিকানা: proctor@daffodilvarsity.edu.bd বা dsa@daffodilvarsity.edu.bd বা হটলাইন নম্বর +৮৮০১৭১৩৪৯৩০০০ বা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভাগীয় কোঅর্ডিনেশন অফিসারদের সাথে ফোনে/ হোয়াটসঅ্যাপে যোগাযোগ করা যাবে।
এর আগে গত ২৭ অক্টোবর বিশ্ববিদ্যালয়ের টেক্সটাইল বিভাগের শিক্ষার্থী হাসিবুল ইসলাম অন্তরকে তুলে নিয়ে বেধড়ক মারধর করে খাগান এলাকায় ফেলে রেখে চলে যায় দুর্বৃত্তরা। পরে শিক্ষার্থীরা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে রাজু হাসপাতাল পরে সাভারের এনাম মেডিকেলে নিয়ে যায়। এরপর পরিবারের তত্ত্বাবধানে তাকে ময়মনসিংহের একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ২ নভেম্বর তিনি মারা যান।