০৬ নভেম্বর ২০২৩, ১০:১৮

শিক্ষার্থীদের নিরাপদ আশ্রয়ে পৌঁছে দিচ্ছে ড্যাফোডিলের বাস

বাস থেকে নেমে দেউলঘাটে বোটের জন্য অপেক্ষা ড্যাফোডিল শিক্ষার্থীদের  © টিডিসি ফটো

ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির (ডিআইইউ) শিক্ষার্থীদের নিরাপদ আশ্রয়ে পৌঁছে দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। ইতিমধ্যে হলের বেশিরভাগ শিক্ষার্থী হল ত্যাগ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসে নিরাপদ আশ্রয়ে পৌঁছেছেন। সোমবার (৬ নভেম্বর) সকাল থেকে এ কার্যক্রম শুরু হয়েছে। বাকি শিক্ষার্থীদের দিনের মধ্যে পৌঁছে দেওয়া হবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেপুটি ডিরেক্টর কাজী দিলজেব কবির আজ সকালে বলেন, এলাকাবাসীর সঙ্গে শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষের পর বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এরপর তাদের ক্যাম্পাস থেকে নিরাপদ আশ্রয়ে পৌঁছে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। আজ বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসগুলো ধাপে ধাপে শিক্ষার্থীদের পৌঁছে দিচ্ছে।

তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের তিন ধাপে নিরাপদ আশ্রয়ে পৌঁছানো হচ্ছে। প্রথম ধাপে বাস যাত্রায় ক্যাম্পাস থেকে দেউলঘাটে শিক্ষার্থীদের নেওয়া হচ্ছে। এরপর বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব বোটে করে পঞ্চবটি ঘাটে নেওয়া হচ্ছে। তারপর সেখানে অপেক্ষমান বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্য বাসে করে শিক্ষার্থীদের উত্তরার মেট্রো স্টেশনে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে।

এর আগে গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় এলাকাবাসীর দফায় দফায় সংঘর্ষের পর রাতেই বিশ্ববিদ্যালয়টি বন্ধ ঘোষণা করা হয়। আজ বৃহস্পতিবার (০৬ নভেম্বর) থেকে আগামী ১৬ নভেম্বর পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের সব ধরনের একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ থাকবে বলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ড্যাফোডিলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

কাজী দিলজেব কবির বলেন, ড্যাফোডিলের ইতিহাসে এই প্রথম শিক্ষার্থীরা এ ধরনের অনাকাঙ্খিত পরিস্থিরি মুখোমুখি হয়েছেন। তারা অনেকটা আতঙ্কিত। তাদের সঙ্গে ন্যাক্কারজনক আচরণ করছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সবসময় শিক্ষার্থীদের পাশে রয়েছে। শিক্ষার্থীদের সঙ্গে এলাকাবাসীর আচরণের বিষয়টি প্রশাসন গুরুত্বের সঙ্গে দেখছে। 

গত ২৭ অক্টোবর বিশ্ববিদ্যালয়ের টেক্সটাইল বিভাগের শিক্ষার্থী হাসিবুল ইসলাম অন্তরকে তুলে নিয়ে বেধড়ক মারধর করে খাগান এলাকায় ফেলে রেখে চলে যায় দুর্বৃত্তরা। পরে শিক্ষার্থীরা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে রাজু হাসপাতাল পরে সাভারের এনাম মেডিকেলে নিয়ে যায়।

এরপর পরিবারের তত্ত্বাবধানে তাকে ময়মনসিংহের একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ২ নভেম্বর মারা যায় অন্তর। এ ঘটনায় মামলা দায়ের হলে মামলার আসামি রাহাতকে গ্রেপ্তার করা হয়। তবে বাকি আসামিদের গ্রেপ্তার ও সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন শিক্ষার্থীরা। এরপরই মাইকে ঘোষণা দিয়ে তাদের উপর এলাকাবাসী হামলা করে।