যেভাবে হত্যা করা হয় ড্যাফোডিল শিক্ষার্থী অন্তরকে
সাভারের বিরুলিয়ায় ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী মো. হাসিবুল হাসান অন্তরকে (২১) তুলে নিয়ে মারধরের পর মৃত্যুর ঘটনায় মামলা দায়ের করার পর প্রধান আসামি রাহাতকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
শনিবার (৪ নভেম্বর) বেলা ১২টার দিকে এক প্রেস ব্রিফিং এর মাধ্যমে এ তথ্য জানান ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) আসাদুজ্জামান।
পুলিশ জানিয়েছে, গত ২৭ অক্টোবর সন্ধ্যার দিকে বিরুলিয়ার খাগান এলাকায় মোটরসাইকেল চালিয়ে পৌঁছান হাসিবুল হাসান অন্তর ও ফয়সাল সিদ্দিকী বাপ্পী। এসময় পূর্ব বিরোধের জের ধরে রাহাত সরকার, মনছুর, আশিক, সিফাত, সাহিম ও টুটুলসহ ১০/১২ জন অন্তরের সঙ্গে থাকা ফয়সাল সিদ্দিকী বাপ্পীকে চর থাপ্পড় দিয়ে তাড়িয়ে দেয়। পরে অন্তরকে অপহরণ করে খাগানের পাশে বউবাজারের একটি বাগানের ভেতরে নিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে লোহার রড দিয়ে উপর্যুপরি আঘাত করে শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুরুতর জখম করে।
পরে আহত অন্তরকে আশুলিয়ার রাজু হাসপাতাল ও সাভার এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হয়। শারিরীক অবস্থা উন্নতি না হওয়ায় তার বাবা-মা উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করেন। সেই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ২ নভেম্বর মো. হাসিবুল হাসান অন্তর মারা যায়।
পুলিশ বলছে, ঘটনার বিষয়ে থানা পুলিশকে কেউ অবহিত করেনি। পরবর্তীতে থানা পুলিশ অবগতের পর স্বপ্রনোদিত হয়ে তদন্তে নামে। ঘটনার বিষয়ে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির সহকারী অধ্যাপক ও ডেপুটি প্রক্টর মো. বদরুজ্জামান বাদী হয়ে ২ নভেম্বর রাত ১১ টার দিকে সাভার মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলাটির তদন্তভার এসআই মো. দিদার হোসেনকে দেওয়া হয়। মামলাটির হওয়ার তিন ঘণ্টার ভেতর রাত ১ টার দিকে গাজীপুর জেলা জয়দেবপুর থানা এলাকা হতে প্রধান আসামি মো. রাহাত সরকারকে গ্রেফতার করা হয়।