প্রথমবারের মতো গবি ভেটেরিনারি অনুষদের একমির ফ্যাক্টরি পরিদর্শন
গণ বিশ্ববিদ্যালয় (গবি) ভেটেরিনারি অনুষদের ৩৫ জন ইন্টার্ন শিক্ষার্থী 'একমি কোম্পানি লিমিটেড' এর সাভারের ধামরাইস্থ ভেটেরিনারি শাখার ঔষধ ফ্যাক্টরি পরিদর্শন করেন। ইন্টার্ন প্লেসমেন্ট হিসেবে বুধবার (১৮ অক্টোবর) একমির ফ্যাক্টরি পরিদর্শনে শিক্ষার্থীদের সাথে ছিলেন ভেটেরিনারি অনুষদের তিনজন শিক্ষকও।
দিনব্যাপী এই পরিদর্শনের মাধ্যমে স্টোরেজ, প্রোডাকশন, মাইক্রো-কালচার, প্যাকেজিং এবং পরীক্ষণস্থানসমূহ ঘুরেঘুরে দেখেন শিক্ষার্থীরা। এই সময় একমি কোম্পানি লিমিটেডের কর্মকর্তাগণ আন্তরিকভাবে তাদেরকে প্রতিষ্ঠানের উন্নতি ও বাস্তবতা তুলে ধরেন।
দুই সেশনের এই অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানে সাভার উপজেলার ইউ এল ও, ধামরাই উপজেলার ভি এস মহোদয় উপস্থিত থেকে দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্য প্রদান করেন।
সাভার উপজেলার ডি.এল.ও ডা. সাজেদুল ইসলাম তার বক্তব্যে এই আয়োজনকে সাধুবাদ জানান এবং একমি কোম্পানি লিমিটেডের কর্মকর্তাদের আন্তরিকতার প্রশংসা করেন। তাদের ঔষধগুলোও মান বজায় রাখার ধারা উত্তরোত্তর বৃদ্ধি করার আহ্বান জানান। গবির ভেটেরিনারি অনুষদের শিক্ষকমন্ডলীদেরও উন্নত শিক্ষা প্রদানের ধারা অব্যাহত রাখার তাগিদ দেন।
ধামরাই উপজেলার ইউ.এল.ও. ডা. দেলোয়ার হোসেন বলেন, তোমাদের এই সোনালী সময়ে আরও একটা অভিজ্ঞতার পালক যুক্ত হলো। ভবিষ্যতে আরও পড়াশোনা করে সরকারের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে পদায়িত হও এই আশা রাখি। একমি কোম্পানি লিমিটেডের এই যাত্রা উত্তরোত্তর সমৃদ্ধ হোক।
আরও পড়ুন: জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে জীবনের শ্রেষ্ঠ দিনগুলো পার করছি
গণ বিশ্ববিদ্যালয়ে পক্ষ থেকে সিনিয়র লেকচারার ডা. সামসুর রহমান, এনিমেল প্রোডাকশনের হেড ডা. রুকুনুজ্জামান খান এবং এসিসটেন্ট লেকচারার ডা. উত্তম কুমার রয় বক্তব্য রাখেন।
এ সময় তারা নিরীক্ষণ হেতু পর্যালোচনায় স্বাস্থ্য নিরাপত্তা, বায়োসিকিউরিটি লেভেল, ঔষধের মান নিয়ে ভুয়সী প্রশংসা করেন এবং দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্য দেন। ভ্যাকসিন, হরমোন এবং অন্যান্য আরো মানসম্মত ঔষধ পরিবেশন করার তাগিদ দেন। ভবিষ্যতে একমির মতো মানসম্মত ঔষধ অন্যান্য কোম্পানিগুলোও যেন তৈরিতে আগ্রহী হয় সে ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের এই সুযোগ দান করার জন্য অনুষদের ডিন ডা. জহিরুল ইসলাম খানের পক্ষ হতে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
ইন্টার্ন শিক্ষার্থীদের মধ্যে নাজমুল হাসান তানভীর বলেন, অনুষদ থেকে প্রথমবারের মতো এই পরিদর্শনমূলক আয়োজন আমাদেরকে প্রায়োগিকভাবে সমৃদ্ধ করেছে। মানুষ ও প্রাণীদের জন্য একই ব্যবস্থায় ঔষধ তৈরির এরুপ পন্থা
একমির অব্যাহত থাকুক। ভবিষ্যতের চাহিদা মেটাতে আধুনিকতর তাদের ৬ টি ইউনিটের পাশাপাশি আরো ইউনিট খোলা হোক এবং জনগণ যেন স্বল্প খরচে ঔষধ কিনতে পারে সেদিকেও একমি আরো খেয়াল রাখুক।
এই সময় আরও উপস্থিত ছিলেন কোম্পানিটির এরিয়া ম্যানেজার ডা. এস. এম. জাহাঙ্গীর আলম ও গবি ভেটেরিনারি অনুষদের সাবেক শিক্ষার্থী এবং বর্তমানে প্র্যাকটিশনার ডা. টুটুল।