৩০ আগস্ট ২০২৩, ১০:১৬

ছাত্র কল্যাণ তহবিল গঠন করলো গবির ভেটেরিনারি অনুষদ 

গবির ভেটেরিনারি অনুষদের শিক্ষক শিক্ষার্থী  © টিডিসি ফটো

আর্থিকভাবে অসচ্ছল শিক্ষার্থীদের মানবিক সহায়তা, চিকিৎসা সহায়তা এবং ভেটেরিনারি সম্পৃক্ত বিভিন্ন দিবস পালন, নবীন বরণ, বিদায় সংবর্ধনা, শিক্ষাসফর, খেলাধুলাসহ বিভিন্ন আয়োজনের সুবিধার্থে প্রথমবারের মতো ছাত্র কল্যাণ তহবিল গঠন করেছে সাভারের গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের (গবি) ভেটেরিনারি এন্ড এনিমেল সায়েন্সেস অনুষদ। 

মঙ্গলবার (২৯ আগষ্ট) দুপুরে একডেমিক ভবনের ২০৪ নম্বর কক্ষে অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. জহিরুল ইসলাম খানকে সভাপতি এবং এনিমেল প্রোডাকশন বিভাগের প্রধান ডা. রোকনুজ্জামানকে কোষাধ্যক্ষ করে এ তহবিল গঠন করা হয়। 

এ বিষয়ে অনুষদের ডিন ও কমিটির সভাপতি প্রফেসর ড. মো. জহিরুল ইসলাম খান বলেন, অনুষদে এমন কোনো কল্যাণমূলক ফান্ড ছিলো না। এটা অনেক আগেই গঠন করা উচিত ছিলো। অনেক পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে কল্যাণ সমিতি রয়েছে। ভেটেরিনারি কল্যাণ সমিতি থেকে শিক্ষার্থীদের কল্যাণেই কাজ করা হবে এবং শিক্ষার্থীদের মতামত নিয়েই ফান্ড থেকে অর্থ বন্টন করা হবে।

কল্যাণমূলক সংগঠনটির প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে অনুষদের ৩য় বর্ষের শিক্ষার্থী ফখরুল ইসলাম সজীব বলেন, শিক্ষার্থীদের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটা কাজ হয়েছে বলে মনে হয়৷ অনেক সময় আমাদের নানামুখী সমস্যায় পড়তে হয় যা থেকে উত্তরনের কোন উপায় থাকে না। এই সংগঠনের মাধ্যমে তার সমাধান হবে বলে মনে করছি৷  

নতুন এ কমিটিতে শিক্ষক উপদেষ্টা হিসবে রয়েছেন ডা. শামসুর রহমান, ডা. রোকেয়া আহমেদ, ডা. সজীবুল হাসান ও ডা. নওশীন আনজুম মৌ।
এছাড়াও কার্যকারী পরিষদের সদস্য হিসেবে রয়েছেন বিভিন্ন সেমিষ্টারে অধ্যয়নরত অনুষদটির ৩৭জন শিক্ষার্থী। সেই সাথে সাধারণ সদস্য হিসেবে অনুষদের সকল শিক্ষার্থী দায়িত্ব পালন করবেন। 

জানা যায়, বর্তমান চলতি শিক্ষার্থীদের আর্থিক সহায়তায় এ তহবিলটি পরিচালত হবে। প্রতি সেমিস্টারের শুরুতে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা জমা দিবেন শিক্ষার্থীরা৷ সেই টাকাই ফান্ডে জমা করা হবে। টাকা জমাদানের জন্য শীঘ্রই ব্যাংক একাউন্ট খোলার কথা রয়েছে।

উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের মে মাসে দেশের প্রথম ও একমাত্র বেসরকারি প্রতিষ্ঠান হিসেবে গণ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভেটেরিনারি শিক্ষার যাত্রা শুরু হয়। বর্তমানে অনুষদটিতে ১৬তম ব্যাচে শিক্ষা কার্যক্রম চলছে। চলমান নানা ইস্যু নিয়ে শিক্ষার্থীদের কল্যাণে এই তহবিল গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা রাখবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন অনুষদের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।