‘বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকলে আমরা আরও আগেই স্মার্ট বাংলাদেশে প্রবেশ করতাম’
বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম. ওসমান গনি তালুকদার বলেছেন, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, স্বাধীনতার মহানায়ক, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শুধু একজন রাজনৈতিক নেতাই ছিলেন না, তিনি মানুষ হিসেবে ছিলেন সকল গুণের অধিকারী। অর্থনীতিতে আজ বাংলাদেশের যে প্রবৃদ্ধি তা শেখ মুজিবুর রহমানের হাত ধরেই শুরু হয়েছিল। তাঁর সময়ে বাংলাদেশ সর্বোচ্চ মাথাপিছু আয়ের ইতিহাস গড়েছিল। বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকলে আমরা আরো আগেই স্মার্ট বাংলাদেশে প্রবেশ করতাম।’
মঙ্গলবার (১৫ আগস্ট) সকাল ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাসে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮তম শাহাদত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সাইন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহকারি অধ্যাপক আরিফা ফেরদৌসী। এসময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. এম. সাইদুর রহমান খান ও মূল আলোচক খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ফায়েক উজ্জামান।
অধ্যাপক ড. এম. সাইদুর রহমান খান বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু, বাঙ্গালি জাতি আর বাংলাদেশ একই সুতোয় গাঁথা। বঙ্গবন্ধু যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশে অতি দ্রুত প্রয়োজনীয় রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছিলেন। পাশাপাশি মিত্রবাহিনীর বাংলাদেশ ত্যাগ এবং আর্ন্তজাতিক অঙ্গণে বাংলাদেশের স্বীকৃতি পাবার ক্ষেত্রে সফল হন। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ছিল দেশের মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তি। কিন্তু ১৫ আগস্টের ঘটনায় জাতির এই উন্নয়ন বাধাগ্রস্থ হয়।’ বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের হত্যাকারীদের বিচারের কাজ সম্পূর্ণ করে জাতিকে কলঙ্কমুক্ত করার প্রচেষ্টা অব্যাহত আছে।’
অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ফায়েক উজ্জামান বলেন, ‘নতুন প্রজন্মকে বঙ্গবন্ধু ও স্বাধীনতা সম্পর্কে জানতে হবে। বঙ্গবন্ধুর দূরদর্শিতা, সংগ্রাম ও আত্মত্যাগ একটি জাতিকে স্বাধীনতা এনে দিয়েছিল। বঙ্গবন্ধুর মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানের মত ঘটনা মানব সভ্যতার ইতিহাসে খুবই বিরল। স্বাধীনতাকামী বাঙ্গালির অধিকারের ইতিহাস তৈরি করেছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তিনি ৫২-এর ভাষা আন্দোলন থেকে দেশ স্বাধীন পর্যন্ত নানা স্লোগান আর প্রতিবাদে উজ্জীবিত করেছিলেন বাঙ্গালি জাতিকে।’
এছাড়া আরো উপস্থিত ছিলেন বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক আনন্দ কুমার সাহা, ট্রেজারার অধ্যাপক ড. মো. ফয়জার রহমান ও সাংবাদিকতা বিভাগের কো-অর্ডিনেটর শাতিল সিরাজ, রেজিস্ট্রার সুরঞ্জিত মন্ডল, বিভিন্ন বিভাগের প্রধান, কো-অর্ডিনেটর, শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ।
এর আগে, দিবসটি উপলক্ষ্যে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিতকরণ, বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। সেখানে বঙ্গবন্ধুর স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন ও পরিবারসহ তাঁর রুহের মাগফিরাত কামনা করে মোনাজাত করা হয়।