১৪ আগস্ট ২০২৩, ২০:২০

এবার পুনর্গঠন হচ্ছে প্রাইমএশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ড

প্রাইমএশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের লোগো

প্রাইমএশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব ট্রাস্টিজ (বিওটি) পুনর্গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে নতুন ট্রাস্টি বোর্ডের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর ও রাষ্ট্রপতি বরাবর ১৪ সদস্যের নাম সুপারিশ করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

তালিকায় থাকা সদস্যরা হলেন– প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক মুখ্যসচিব ড. কামাল আব্দুল নাসের চৌধুরী; বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. আব্দুল জব্বার খান; প্রাইমএশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা ওয়াহিদ মুরাদ জামিল ও ওয়াহিদ মাহমুদ খালেদ; ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রোবোটিকস এন্ড ম্যাকাট্রোনিকস ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. লাফিফা জামাল; একই বিশ্ববিদ্যালয়ের পিস এন্ড কনফ্লিক্ট স্টাডিজ বিভাগের ড. মো: রফিকুল ইসলাম ও মালয়েশিয়ার পুত্রা ইউনিভার্সিটির শিক্ষক এবং ফেলো ড. মোহাম্মদ জিল্লুর রহমান।

এছাড়া রয়েছেন– ব্যবসায়ী এবং সমাজকর্মী মো: আনিসুর রহমান; আইনজীবী এবং সমাজকর্মী মিসেস কুহেলী কুদ্দুস; ফিজিশিয়ান ফাতেমা রওশন জাহান; এনজিও এবং ডেভেলপমেন্ট প্রফেশনাল জনাব মো: মিজানুর রহমান; ব্যবসায়ী মো: রেজাউল করিম এবং ব্যবসায়ী মো: নুরুন্নবী সিদ্দিক।

আরো পড়ুন: রুম দখলকে কেন্দ্র করে ঢাবি ছাত্রলীগের দুপক্ষে সংঘর্ষ

বোর্ড অব ট্রাস্টিজ পুনর্গঠনের বিষয়ে বর্তমান সদস্যদের সাথে একাধিকবার চেষ্টা করেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। এ বিষয়ে বোর্ড অব ট্রাস্টিজের নতুন সদস্য হিসেবে চিঠিতে উল্লেখিত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রোবোটিকস এন্ড ম্যাকাট্রোনিকস ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. লাফিফা জামালে সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, এ বিষয়ে আমি এখনো কোনো চিঠি পাইনি। কিছুদিন আগে শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে আমার এনআইডি কার্ডের কপি নেয়া হয়েছিল। কোনো একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য করা হতে পারে জানতাম কিন্তু সেটি কোন বিশ্ববিদ্যালয় জানানো হয়নি।

বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) সদস্য প্রফেসর ড. বিশ্বজিৎ চন্দ বলেন, এখনো চিঠি পাইনি। তবে প্রাইমএশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের দুর্নীতির প্রমাণ পাওয়ার পর ইউজিসি থেকে এ বিষয়ে সুপারিশ করা হয়েছিল।
 
ট্রাস্টি বোর্ড পুনর্গঠনের বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় শাখার উপসচিব মো. আবু ইউসুফ মিয়া বলেন, এখন এ বিষয়ে মন্তব্য করতে চাচ্ছি না। ট্রাস্টি বোর্ড পুনর্গঠনের পর মন্তব্য করতে পারবো।

এর আগে, প্রাইমএশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক চেয়ারম্যান এমএ খালেকের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগের প্রমাণ পেয়েছিল ইউজিসি। নিজের, পরিবারের সদস্য ও প্রতিষ্ঠানের নামে প্রাইমএশিয়া ফাউন্ডেশন থেকে ৯০ কোটি টাকার বেশি অর্থ সরিয়ে নেন তিনি। অভিযোগের বিষয়টি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মাধ্যমে যাচাই করে দ্রুত এ বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা নেয়ার সুপারিশ করেছিল ইউজিসি।

জানা গেছে, এমএ খালেক ২০১৫ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত প্রাইমএশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব ট্রাস্টিজের (বিওটি) চেয়ারম্যানের দায়িত্বে পালনকালে নিজের নামে ৬৫ কোটি ৭৫ লাখ টাকা স্থানান্তর করেছেন। পে-অর্ডারের মাধ্যমে এক গ্রাহককে দিয়েছেন ২১ কোটি টাকা। এছাড়া বিভিন্ন সময়ে স্ত্রী সাবিহা খালেক, ভাগ্নে মিজানুর রহমান, ব্যক্তিগত স্টাফ তাজুল ইসলাম ও পারিবারিক কোম্পানি ম্যাকসনস বিডি লিমিটেডের ব্যাংক হিসাবে ৩ কোটি ৪৩ লাখ টাকা স্থানান্তর করেছেন।