০৮ আগস্ট ২০২৩, ২০:৩৯

মৃত্যুর আগে মেসেঞ্জারে বন্যার ভয়াবহ পরিস্থিতি জানিয়েছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র

জুনায়েদুল ইসলাম জারিফ ও তার মেসেঞ্জারের চ্যাট  © টিডিসি ছবি

রাতে নিজ এলাকার বন্যার ভয়াবহ পরিস্থিতি জানিয়েছিলেন ফেসবুকের মেসেঞ্জারে। এর কয়েক ঘন্টা ব্যবধানে সেই বন্যার পানিতে ডুবেই মারা গেছেন চট্টগ্রামের বিসিজি ট্রাস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ে কম্পিউটার প্রকৌশল বিভাগের শিক্ষার্থী জুনায়েদুল ইসলাম জারিফ। ঘটনাটি ঘটেছে জেলার লোহাগাড়া উপজেলার আমিরাবাদ এলাকায়।

মঙ্গলবার (০৮ আগস্ট) বিকেল তিনটার দিকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এর আগে সোমবার রাতে নিজের এলাকায় বন্যার অবস্থা খারাপ জানিয়ে মেসেঞ্জারে বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীক একটি গ্রুপে তিনি বলেছিলেন, আমাদের বাড়ি থেকে পানি ৮ ফুট উচুতে উঠে গেছে তাই বের হওয়ার কোন সুযোগ নেই। বাড়ির পেছনে ডলু খাল ভেঙে পানি রেল লাইনের কারণে (চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেলপথ) কোন দিকে যেতে পারছে না। সেমসয় তিনি সবার কাছে দোয়াও চেয়েছিলেন।

আরও পড়ুন: লোহাগাড়ায় বন্যার পানির স্রোতে তলিয়ে প্রাণ গেল বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রের

একই সময়ে জারিফ ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাসও দিয়েছিলেন। স্ট্যাটাসে তিনি লেখেন, অতিদ্রুত সময়ের ভিতর লোহাগাড়ার স্কুল/কলেজ ভবনগুলো আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে খুলে দেন... বন্যার অবস্থা খুব খারাপ।

জানা গেছে, সোমবার রাত দুইটার দিকে পরিবার নিয়ে নিরাপদ আশ্রয়স্থলে যাওয়ার পথে পানিতে তলিয়ে যান তিনি৷ এর ১৩ ঘণ্টা পর আজ মঙ্গলবার বিকেলে তার মরদেহ উদ্ধার করেন স্থানীয়রা।

স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, গতরাত নিখোঁজ হওয়ার পর থেকে আমরা অনেক খোঁজাখুঁজি করেছি। আজ বিকালে খোঁজাখুঁজি এক পর্যায়ে বাড়ির সামনে বিলে পানি তলে থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। 

লোহাগাড়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সাইফুল ইসলাম বলেন, একজনের মরদেহ উদ্ধারের খবর পেয়েছি।

বিসিজি ট্রাস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মো. ফাহিম বলেন, রাত সাড়ে ১১টার দিকে জারিফ ফোন দিয়েছিল। তার সঙ্গে এটাই শেষ কথা ছিল। এছাড়া রাতে মেসেঞ্জারে বন্যার ভয়াবহ পরিস্থিতি জানিয়েছিলেন। আর আজ সে আমাদের মাঝে আর নেই।