মেধাবী শিক্ষার্থীরা সব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে পারে: স্পিকার
জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, মেধাবী শিক্ষার্থীরা সব ধরনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে সক্ষম। এ সময় তিনি শিক্ষার্থীদের আত্মবিশ্বাসী ও নিজের স্বপ্নের ওপর দৃঢ় বিশ্বাস রেখে অধ্যয়নের আহ্বান জানান। এশিয়ান ইউনিভার্সিটি ফর উইমেনের (এইউডব্লিউ) শিক্ষা প্রদান প্রক্রিয়া শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যতে সফলতার সঙ্গে এগিয়ে যেতে আত্মপ্রত্যয়ী করছে বলেও মনে করেন তিনি।
বৃহস্পতিবার (৩ আগস্ট) চট্টগ্রামে এশিয়ান ইউনিভার্সিটি ফর উইমেন আয়োজিত ‘গণিত ও বিজ্ঞানশিক্ষা বিষয়ক সামার স্কুল-২০২৩-এর সমাপনী অনুষ্ঠান’ এ প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নারী শিক্ষা প্রসারে সব সময় অগ্রবর্তী। প্রধানমন্ত্রী তৃণমূলের দরিদ্র ও বঞ্চিত এক কোটি শিক্ষার্থীর মাঝে মায়েদের মোবাইলের মাধ্যমে বৃত্তি প্রদান, মায়েদের মোবাইল প্রদান, বিনামূল্যে বই বিতরণ, উচ্চশিক্ষার জন্য বৃত্তি প্রদানসহ বিভিন্ন পদক্ষেপ বাস্তবায়ন করেছেন। ফলে বাংলাদেশ বিশ্বের কাছে রোল মডেলে পরিণত হয়েছে—জানান ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নের পর স্মার্ট বাংলাদেশের প্রত্যয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী ২০৩০ সালের মধ্যে এসডিজি লক্ষ্যমাত্রা অর্জন এবং ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে আধুনিক, প্রযুক্তিনির্ভর শিক্ষিত জাতি প্রয়োজন। এ সময় তিনি উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে নারীর অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
স্পিকার তৃণমূলের দরিদ্র মেধাবী শিক্ষার্থীদের এইউডব্লিউর সামার স্কুলে পড়ার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য এইউডব্লিউ এবং শেভরন বাংলাদেশকে ধন্যবাদ জানান। সরকারের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে এমন প্রোগ্রাম শিক্ষা ক্ষেত্রে আরও কার্যকর ভূমিকা রাখবে বলে তিনি উল্লেখ করেন। এ সময় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী এবং এশিয়ান ইউনিভার্সিটি ফর উইমেনের উপাচার্য ড. রুবানা হক শিক্ষার্থীদের সনদ প্রদান করেন।
এইউডব্লিউ ডিন অব ফ্যাকাল্টি ও অ্যাকাডেমিক অ্যাফেয়ারস ড. বীণা খুরানার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) উপাচার্য ড. শিরীণ আখতার, এশিয়ান ইউনিভার্সিটি ফর উইমেনের উপাচার্য ড. রুবানা হক, শেভরন বাংলাদেশের করপোরেট অ্যাফেয়ার্সের পরিচালক মুহাম্মদ ইমরুল কবির ও লিগ্যালের পরিচালক মানাল মোহাম্মদ।
প্রসঙ্গত, পাঁচ সপ্তাহব্যাপী ভিন্নধর্মী সামার স্কুল প্রোগ্রামে দেশ-বিদেশের স্বনামধন্য পেশাদার ও অভিজ্ঞতাসম্পন্ন শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের গণিত, পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন, কম্পিউটার কোডিং এবং জনস্বাস্থ্য ও পরিবেশবিজ্ঞান সেশন পরিচালনা করেন। একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির সর্বমোট ৫১ জন মেধাবী শিক্ষার্থীকে সামার স্কুলে অংশগ্রহণের স্বীকৃতিস্বরূপ যোগ্যতা সনদ প্রদান করা হয়েছে।