ইউজিসির গড়িমসিতে আটকা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের পিএইচডি!
উচ্চশিক্ষার অন্যতম প্রধান কাজ গবেষণার মাধ্যমে নতুন জ্ঞানের সৃষ্টি করা। বিশ্বব্যাপী মৌলিক গবেষণা কার্যক্রম পরিচালিত হয় মূলত পিএইচডি প্রোগ্রামের মাধ্যমে। কিন্তু দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে এই প্রোগ্রামের মান নিয়ে বিভিন্ন সময়ে প্রশ্ন উঠলেও তা নিয়ে নির্বাক তদারক প্রতিষ্ঠান। স্বভাবতই এক্ষেত্রে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে বলে অভিমত শিক্ষা সংশ্লিষ্টদের। তবে নীতিমালা তৈরি না হওয়ায় এই কার্যক্রম শুরুই করতে পারছে না বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো।
তথ্যমতে, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে পিএইচডি প্রোগ্রাম চালু করতে চায় সরকার। এজন্য বারবার বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনকে (ইউজিসি) তাগাদা দিলেও এখন পর্যন্ত নীতিমালাই তৈরি করেনি সংস্থাটি। এ নিয়ে কোনো কমিটিও করেনি উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান দেখভালের দায়িত্বে থাকা প্রতিষ্ঠানটি। ফলে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে এই কার্যক্রম চালুর উদ্যোগ সফলতার মুখ দেখছে না।
জানা গেছে, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে পিএইচডি কোর্স চালু করতে সবার আগে প্রয়োজন নীতিমালা; যা তৈরির দায়িত্ব ইউজিসির। নীতিমালাটি প্রণয়ন হলে সেটি অনুমোদনের জন্য মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে। মন্ত্রণালয় সেটি চূড়ান্ত করে প্রকাশ করবে। এরপরই পিএইচডি কোর্স চালুর অনুমতি পাবে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো। তবে অজানা কারণে সেই নীতিমালা তৈরি করছে না ইউজিসি। এ নিয়ে সরাসরি ব্যাখ্যা দিতেও নারাজ তদারক সংস্থাটি।
দেশের বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের পিএইচডি ডিগ্রি দেয়ার সক্ষমতা রয়েছে। অনেকেই জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে পিএইচডি করাতে আগ্রহী। কিন্তু সেগুলোতেও অনুমোদন দেওয়া হচ্ছে না। আমরা ৬ দফা আন্দোলনের ওপর পিএইচডি কোর্স চালু করতে চেয়েছিলাম। সেটিরও অনুমোদন মেলেনি। অথচ ৬ দফা আমাদের অস্তিত্বের সাথে মিশে রয়েছে। ইউনেস্কো থেকে এর স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। এমন একটি বিষয়ে পিএইচডি করার অনুমোদনও দেওয়া হচ্ছে না—
ড. মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিন, চেয়ারম্যান, বিওটি, ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটি
বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন ছিল ইউজিসি সদস্য (বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়) অধ্যাপক ড. বিশ্বজিৎ চন্দের কাছে। তিনি দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে পিএইচডি কোর্স চালু করতে কমিশনের সকল সদস্যদের মতামতের ভিত্তিতে নীতিমালা তৈরি করতে হবে। বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন। নীতিমালা তৈরির আগে অনুমোদন দেওয়া সম্ভব হবে না বলেও জানান।
তবে কেন দীর্ঘদিন ধরে এই নীতিমালা তৈরির কাজ প্রক্রিয়াধীন? তা নিয়ে ইউজিসির অন্তত ৩টি দপ্তরে প্রশ্ন রেখেও কোনো সদুত্তর পাওয়া যায়নি। তাদের প্রত্যেকেই বলছেন, ‘বিষয়টি পুরো কমিশনের ইস্যু। একক মন্তব্য বা কারণে এটি সীমাবদ্ধ নয়।’
যদিও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সংশ্লিষ্টরা বলছেন, দেশের বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের পিএইচডি কোর্স চালুর সক্ষমতা রয়েছে। গবেষণার পর্যাপ্ত সুযোগ, গবেষকদের ভাতা, আবাসন সুবিধাসহ সকল সুবিধা দেওয়ার সক্ষমতা থাকলেও শুধু নীতিমালার অভাবে তারা কোর্স চালু করতে পারছেন না। এ অবস্থায় শিক্ষার্থীরা পিএইচডির জন্য বাইরের দেশগুলোকে বেছে নিচ্ছে। ফলে দেশের মেধাবীরা অন্য দেশে পারি জমাচ্ছেন।
পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো থেকে দেওয়া পিএইচডির মান নিয়েই প্রশ্ন রয়েছে। সেখানে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে অনুমোদন দিলে এই প্রশ্ন আরও জোরেশোরে উঠবে। কেননা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি সিন্ডিকেট অর্থের বিনিময়ে পরিচালিত হয়। এই সিন্ডিকেট অর্থের বিনিময়ে পিএইচডি ডিগ্রির বাণিজ্যও করতে পারে। সেজন্য নীতিমালা তৈরির বিষয়টি ভেবে-চিন্তে নিতে হবে— ইউজিসি সদস্য (নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক)
এ প্রসঙ্গে ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিন দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে পিএইচডি কোর্স চালুর বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং ইউজিসি উভয়ই ইতিবাচক। তবে এর চূড়ান্ত অনুমোদন মিলছে না। অনুমোদন না মেলায় আমরা মেধাবীদের ধরে রাখতে পারছি না।
তিনি আরও বলেন, দেশের বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের পিএইচডি ডিগ্রি দেয়ার সক্ষমতা রয়েছে। অনেকেই জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে পিএইচডি করাতে আগ্রহী। কিন্তু সেগুলোতেও অনুমোদন দেওয়া হচ্ছে না। মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিন বলেন, আমরা ৬ দফা আন্দোলনের ওপর পিএইচডি কোর্স চালু করতে চেয়েছিলাম। সেটিরও অনুমোদন মেলেনি। অথচ ৬ দফা আমাদের অস্তিত্বের সাথে মিশে রয়েছে। ইউনেস্কো থেকে এর স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। এমন একটি বিষয়ে পিএইচডি করার অনুমোদনও দেওয়া হচ্ছে না।
ইউজিসির ঘনিষ্ট একটি সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি পূর্ণ কমিশনের সভায় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে পিএইচডি কোর্স চালুর বিষয়টি আলোচনা হয়েছে। তবে সেটি ফলপ্রসূ হয়নি। কমিশনের কয়েকজন সদস্য এখনই বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে পিএইচডি কোর্স চালুর অনুমোদন দিতে চান না। বিভিন্ন সময় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে অর্থের বিনিময়ে সার্টিফিকেট বাণিজ্যের অভিযোগ ওঠায় এই ঝুঁকি নিতে চান না তারা। তবে ধাপে ধাপে এবং বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সাথে যৌথভাবে পিএইচডি ডিগ্রি চালুর বিষয়ে ইতিবাচক মনোভাব প্রকাশ করেছে ইউজিসি।
পূর্ণ কমিশনের সভায় উপস্থিত ইউজিসির এক সদস্য দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো থেকে দেওয়া পিএইচডির মান নিয়েই প্রশ্ন রয়েছে। সেখানে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে অনুমোদন দিলে এই প্রশ্ন আরও জোরেশোরে উঠবে। কেননা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি সিন্ডিকেট অর্থের বিনিময়ে পরিচালিত হয়। এই সিন্ডিকেট অর্থের বিনিময়ে পিএইচডি ডিগ্রির বাণিজ্যও করতে পারে। সেজন্য নীতিমালা তৈরির বিষয়টি ভেবে-চিন্তে নিতে হবে।
পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে নেওয়া পিএইচডি ডিগ্রির মান নিয়েও অনেক প্রশ্ন রয়েছে। অনেক পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় মানহীন পিএইচডি ডিগ্রি প্রদান করছে। যেটি প্রায়ই গণমাধ্যমের শিরোনাম হচ্ছে
—অধ্যাপক ড. সহিদ আকতার হুসাইন, উপাচার্য, ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটি
তবে ইউজিসির এসব অভিযোগ মানতে নারাজ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। তারা বলছেন, ঢালাওভাবে অভিযোগ না করে যাদের প্রকৃতপক্ষে পিএইচডি ডিগ্রি চালুর সক্ষমতা রয়েছে; তাদের সুযোগ দেওয়া দরকার। সুযোগ দেওয়ার আগে পিএইচডি বাণিজ্যের অভিযোগ তোলা সমীচীন নয়।
এ প্রসঙ্গে ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক ড. সহিদ আকতার হুসাইন দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, অর্থের বিনিময়ে সার্টিফিকেট বাণিজ্য অনেক আগে হত। এখন এটি বন্ধ হয়ে গেছে। কাজেই এই অজুহাতে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে পিএইচডি কোর্স চালুর অনুমোদন আটকে রাখা উচিত হবে না।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক এই উপ-উপাচার্য বলেন, সব বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়কে পিএইচডি কোর্স চালুর অনুমতি দেওয়ার দরকার নেই। যাদের সক্ষমতা রয়েছে এমন তিন/চারটি বিশ্ববিদ্যালয়কে এই সুযোগ দেওয়া দরকার। এক্ষেত্রে ঢাবির মতো দেশের বাহির থেকে একজন পরীক্ষক নিয়োগ দেওয়া যেতে পারে। পরীক্ষা পদ্ধতি কঠোর করা যেতে পারে। যদি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো পিএইচডির মান বজায় রাখতে না পারে তখন এটি বন্ধ করে দেবে।
প্রশ্ন পাবলিকের পিএইচডি’র মান নিয়েও
দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর পিএইচডি’র মান নিয়ে নানা প্রশ্ন রয়েছে। অনেকেই কেবল পদোন্নতির জন্য যেনতেনভাবে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেছেন বলে অভিযোগ পুরোনো। পিএইচডি গবেষণায় চৌর্যবৃত্তির অভিযোগও শোনা যায় হরহামেশা।
সম্প্রতি ঢাবিতে শিক্ষক নিয়োগের নীতিমালায় বলা হয়েছে, পিএইচডি ডিগ্রি না থাকলে অধ্যাপক হওয়া যাবে না। এমন নীতিমালার পর থেকে অনেক শিক্ষক অধ্যাপক হওয়ার জন্য পিএইচডি ডিগ্রি অর্জনের জন্য উঠেপড়ে লেগেছেন। এর ফলে পিএইচডির মূল লক্ষ্য অর্জন হচ্ছে না বলে শিক্ষা সংশ্লিষ্টদের অভিযোগ। এই ডিগ্রি দেশের উন্নয়নেও কোনো ভূমিকা রাখতে পারছে না।
মাত্র এক দশক আগে শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু ইনস্টিটিউট অব লিবারেশন ওয়ার আ্যান্ড বাংলাদেশ স্টাডিজেরও রয়েছে পিএইচডি ডিগ্রি প্রদানের অনুমতি। যদিও এই ইনস্টিটিউটের নিজস্ব কোনো অধ্যাপকই নেই। এমনকি বিশ্ববিদ্যালয়টির কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহাকারী অধ্যাপক আক্কাস আলী ২০১৮ সালে বিশ্ববিদ্যালয়টির তৎকালীন উপাচার্য এবং কৃষি বিভাগের অধ্যাপক খোন্দকার নাসিরউদ্দিনের অধীনে পিএইচডিতে ভর্তি হয়েছিলেন। কম্পিউটার সায়েন্স বিভাগের শিক্ষক হয়ে কৃষি বিভাগের শিক্ষকের অধীনে করা পিএইচডি একাডেমিক কার্যক্রমে কতটা কাজে আসবে— সে সময় এমন প্রশ্ন তুলেছিলেন অনেকে।
এ বিষয়ে অধ্যাপক ড. সহিদ আকতার হুসাইন বলেন, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে নেওয়া পিএইচডি ডিগ্রির মান নিয়েও অনেক প্রশ্ন রয়েছে। অনেক পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় মানহীন পিএইচডি ডিগ্রি প্রদান করছে। যেটি প্রায়ই গণমাধ্যমের শিরোনাম হচ্ছে।
পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের পিএইচডির মান নিয়ে অধ্যাপক ড. সহিদ আকতার হুসাইনের অভিযোগের চিত্র উঠে এসেছে সাম্প্রতিক কিছু পরিসংখ্যানেও। তথ্য বলছে, দেশের বড় বড় কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে এমন কিছু বিষয়ে পিএইচডি ডিগ্রি দেওয়া হয় যা কোনো কাজেই আসে না। অথচ পিএইচডি’র মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে গবেষণার মাধ্যমে নতুন কিছু উদ্ভাবন করা। যা মানবকল্যাণে উপকার বয়ে আনবে। অথচ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো বর্তমান সময়ের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ বিষয়গুলোর ওপরই পিএইচডি কোর্স চালু করতে চায়।
ইউজিসির সবশেষ বার্ষিক প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, বড় বড় বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর পাশাপাশি নবীন বিশ্ববিদ্যালয়গুলোও পিএইচডি কোর্স করাচ্ছে। এমনও কিছু বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে, যেখানে অধ্যাপক নেই বললেও চলে। অথচ এই বিশ্ববিদ্যালয়গুলোও পিএইচডি করানোর অনুমোদন পেয়েছে। অন্যদিকে কয়েকটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা থাকলেও তাদের পিএইচডির সুযোগ দেওয়া হচ্ছে না।
এসব বিষয়ে ইউজিসি সদস্য (বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়) অধ্যাপক ড. বিশ্বজিৎ চন্দ দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, পিএইচডি নিয়ে সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে তুলনা করতে চাই না। আপাতত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো বিদেশি কোনো নামি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে যৌথভাবে পিএইচডি কোর্স চালু করতে পারে। এক্ষেত্রে দুই বিশ্ববিদ্যালয় থেকেই সুপারভাইজার নিয়োগ দিতে হবে। কোর্সের মেয়াদ যদি চার বছর হয় তাহলে দেশে দুই বছর এবং দেশের বাইরে দুই বছর গবেষণার সাথে যুক্ত থাকতে হবে। পিএইচডি সার্টিফিকেটে দুই বিশ্ববিদ্যালয়ের নামই লেখা থাকবে। এর ফলে পিএইচডির মান নিয়ে কোনো প্রশ্ন থাকবে না।