শিক্ষার্থী টানতে অস্ট্রেলিয়ার ভিসি-প্রোভিসিরা বাংলাদেশে
অস্ট্রেলিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী টানতে বাংলাদেশে এসেছেন দেশটির বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও উপ-উপাচার্যরা। তাদের সঙ্গে দেশটির সরকারের উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিরাও রয়েছেন। শুক্রবার (২ জুন) রাজধানীর বেসরকারি আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে আইডিপি একটি আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
আইডিপির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, মূলত অভিজ্ঞতা বিনিময়, সম্পর্ক জোরদার এবং উচ্চশিক্ষার নানান খুঁটিনাটি উপস্থাপন করতে বাংলাদেশে এসেছেন তারা। বাংলাদেশি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর সাথে ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়ার বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের অংশীদারিত্ব বাড়াতে তারা বাংলাদেশ সফর করছেন।
এসময় ইউনিভার্সিটি অব ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়ার বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত উপাচার্য প্রফেসর অমিত চাকমা বলেন, অস্ট্রেলিয়া আজ এবং আগামীর। এখানে সবকিছু সদা পরিবর্তনশীল। আপনি যদি পরিবর্তনের সাথে চলতে অভ্যস্ত হয়ে উঠেন, তাহলে অস্ট্রেলিয়া আপনার জন্য সহজ হয়ে উঠবে। আমি ৩টা বিষয় মাথায় রাখতে বলবো, শিক্ষার গুণগত মান, নিরাপত্তা, বহুসংস্কৃতির সমাজ। এই বিষয়গুলো বিবেচনা করলে অস্ট্রেলিয়া দারুণ একটা পছন্দ হতে পারে।
আরও পড়ুন: অস্ট্রেলিয়ায় উচ্চশিক্ষার সুযোগ সুবিধা
তিনি বলেন, আপনাদের মতো আমিও বাংলাদেশে ৭০-এর দশকে ঢাকা কলেজে পড়াশোনা করেছি। আমি রাঙামাটি থেকে পড়তে এসেছিলাম; যখন এতো ভালো নেটওয়ার্ক ছিল না। আপনারা অনেক বিকল্প দেখে পছন্দ করতে পারেন, যেগুলো আমরা পাইনি। আমি জন্মসূত্রে বাংলাদেশি আর পছন্দসূত্রে অস্ট্রেলিয়ান।
এসময় আরও বক্তব্য উপস্থাপন করেন মরডচ ইউনিভার্সিটির ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর আন্ড্রিত ডিকস, ইউনিভার্সিটি অব নটর ডেমের ভাইস চ্যান্সেলর ডেভিড হ্যারিসন, কার্টিন ইউনিভার্সিটির প্রতিনিধি অভিজিৎ মুখার্জি, মরডচ ইউনিভার্সিটির রিজিওনাল ম্যানেজার অর্জুন সিং, ডিপার্টমেন্ট অব ট্রেইনিং অ্যান্ড ওয়ার্কফোর্স ডেভেলপমেন্টের এক্সিকিউটিভ ব্র্যাড কোলি, আইটিডব্লিউএর ইনভেস্টমেন্ট অ্যান্ড ট্রেড কমিশনার নাশিদ চৌধুরী প্রমুখ।
আরও পড়ুন: উচ্চশিক্ষায় অস্ট্রেলিয়ার সেরা দশ স্কলারশিপ
এসময় তারা অস্ট্রেলিয়ায় জীবনযাত্রা, আবহাওয়া, শহরের নানান সুযোগসুবিধা, নিরাপত্তা, শিক্ষার মান, বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক র্যাংকিংয়ে অবস্থান, কোর্সের বিস্তারিত তথ্য অনুষ্ঠানে উপস্থাপন করেন। এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালগুলোর নিজস্ব বৃত্তি পাশাপাশি প্রিমিয়ার শিক্ষাবৃত্তি, ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়ার সার্টিফিকেট অব এডুকেশন বার্সারি প্রোগ্রাম সম্পর্কে উপস্থাপন করা হয়।
এর আগে, ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়ার বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় এবং ঢাকা ও চট্টগ্রামের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে অংশীদারিত্বমূলক চুক্তিও স্বাক্ষরিত হয়েছে। এরমধ্যে চট্টগ্রামের 'সানশাইন গ্রামার স্কুল' এবং ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়ার 'স্কুল স্ট্যান্ডার্ড কারিকুলাম অথোরিটি' এর মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। পাশাপাশি এসব স্কুলকে 'ফার্স্ট কারিকুলাম লাইসেন্সিং এগ্রিমেন্টে' আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দেয়া হয়েছে।
আইডিপি জানিয়েছে, ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়ার পাঠ্যক্রম অনুযায়ী পড়াশোনা করলে শিক্ষার্থীদের পার্থ শহরের পাঁচটি বিশ্ববিদ্যালয়ের উচ্চশিক্ষায় আবেদন করা সহজ হয়ে উঠবে।