‘শিক্ষার্থীদের দেশ-জাতি ও পৃথিবীর রাজনীতি নিয়ে গবেষণা করতে হবে’
বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) সদস্য প্রফেসর ড. মো. সাজ্জাদ হোসেন ছাত্র ছাত্রীদের জাতি, দেশ, পৃথিবীর রাজনীতি নিয়ে গবেষণা করতে হবে জানিয়ে বলেছেন, আমাদের দুর্ভাগ্য আমরা বঙ্গবন্ধুকে ধরে রাখতে পারিনি। বিশ্বে আমরাই একমাত্র জাতি যেখানে প্রাথমিক থেকে হাইয়ার এডুকেশন পর্যন্ত খুব সামান্য টাকায় পড়াশুনা করা যায়। আমি ধন্যবাদ জানাই বেসরকারি ইউনিভার্সিটি পরিবারকে যারা করোনাকালে শিক্ষার্থীদের অনলাইনে ক্লাস নিয়েছে।
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জুলিও কুরি পদক প্রাপ্তির পঞ্চাশতম বছর পূর্তি উপলক্ষে সোনারগাঁও ইউনিভার্সিটিতে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। মঙ্গলবার (২৩ মে) রাজধানীর গ্রীন রোডে বিশ্ববিদ্যালয়টির অডিটোরিয়ামে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
প্রফেসর ড. মো: সাজ্জাদ হোসেন বলেন, আমাদের সম্পদের পরিমাণ কম, যুদ্ধের কারণে দ্রব্য মূল্যের ঊর্ধ্বগতি হচ্ছে। নিজেরা দরিদ্র হওয়া সত্ত্বেও ১১ লক্ষ রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিয়ে আমরা জাতি হিসেবে মহত প্রমাণ করেছি। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে অনেক এগিয়ে নিয়ে গেছেন যার কারণে অনেক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে। আজ আমরা নিজস্ব স্যাটেলাইটের মালিক। আমাদের হয়ত কিছু গ্যাপ আছে কিন্তু আমরা অনেক এগিয়ে যাচ্ছি। বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় বঙ্গবন্ধুর জীবনী থেকে শিক্ষা নিয়ে শিক্ষার্থীদের অনুপ্রাণিত হতে হবে।
আলোচনা সভার সভাপতি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সোনারগাঁও ইউনিভার্সিটির উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. আবুল বাশার এবং প্রধান অতিথি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের সদস্য প্রফেসর ড. মো. সাজ্জাদ হোসেন। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ‘জুলিও কুরি’ শান্তি পদক প্রাপ্তির ৫০ বছর পূর্তির ওপর বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন প্রো ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর শামীম আরা হাসান, প্রাক্তন ট্রেজারার ও ব্যবসায় প্রশাসনের প্রফেসর মো. আল-আমিন মোল্লা।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন কলা ও মানবিক অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. এম এ মাবুদ, সিএসই বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান বুলবুল আহমেদ, এমই বিভাগের বিভাগীয় প্রধান প্রফেসর মো: মোস্তফা হোসেন, ছাত্রকল্যাণ দপ্তরের পরিচালক কাজী জুলকারনাইন সুলতান আলম। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনায় ছিলেন রেজিস্ট্রার এস, এম, নূরুল হুদা।
প্রসঙ্গত, ১৯৫০ সাল থেকে ‘জুলিও কুরি’ পদক দেয়া শুরু হয়। মূলত সাম্রাজ্যবাদ ও ফ্যাসিবাদ বিরোধিতা এবং মানবতা ও বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় যারা অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন, তারা এ পদকে ভূষিত হয়ে আসছিলেন। বঙ্গবন্ধু এ পদকপ্রাপ্তির আগে কিউবার বিপ্লবী নেতা ফিদেল কাস্ত্রো, ভিয়েতনামের সংগ্রামী নেতা হো চি মিন, চিলির গণআন্দোলনের নেতা সালভেদর আলেন্দে, ফিলিস্তিনের জনদরদি নেতা ইয়াসির আরাফাত প্রমুখ এ পদক পেয়েছিলেন।