উত্তরা ইউনিভার্সিটিতে ভর্তি মেলা শুরু
রাজধানীর উত্তরা ইউনিভার্সিটিতে শুরু হয়েছে ভর্তি মেলা ফল-২০২৩। আজ বৃহস্পতিবার (১১ মে) সকালে বিশ্ববিদ্যালয়টির উত্তরা ৬ নম্বর সেক্টরের ক্যাম্পাসে ফিতা ও কেক কেটে ১৫ দিনব্যাপী এই ভর্তি মেলার উদ্বোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর (ভিসি) প্রফেসর ড. ইয়াসমীন আরা লেখা।
মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ প্রফেসর মমতাজ বেগম, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপদেষ্টা (অ্যাডমিশন ও প্রমোশন) আবিদ আজিজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার কাজী মহিউদ্দিন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্র্যান্ড কমিউনিকেশন ডিরেক্টর ও ট্রিপল-ই বিভাগের প্রফেসর শাহরুখ আদনান খান, বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল অব বিজনেসের ডিন প্রফেসর ড. এএফএম শাহাবুদ্দিন, মেলা কমিটির আহ্বায়ক কাজী তারেক উল্লাহ, বিশ্ববিদ্যালয়ের ফ্যাশন ডিজাইন ও টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ফারুক এম মাসুদ, ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আবুল কালাম পাটওয়ারী, গণিত বিভাগের চেয়ারম্যান ড. শাহান শাহ খান, বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের চেয়ারম্যান মকবুল হোসেন প্রমুখ।
উত্তরা ইউনিভার্সিটি আশুলিয়া নিজস্ব ক্যাম্পাসে স্থানান্তর উপলক্ষে এবারের মেলায় ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের জন্য ৩০ থেকে ১০০ শতাংশ পর্যন্ত শিক্ষাবৃত্তির ব্যবস্থা রয়েছে। প্রতিদিন সকাল ১০টায় শুরু হয়ে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত এ মেলা চলবে আগামী ২৬ মে পর্যন্ত। এছাড়াও ভর্তিতে বিশেষ ছাড় পাবেন সকল প্রোগ্রামে ইউনিভার্সিটির প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের পরিবার, তৃতীয় লিঙ্গ, শারীরিক প্রতিবন্ধী ও ক্ষুদ্র নৃতাত্ত্বিক গোষ্ঠীর শিক্ষার্থীরা।
মেলার উদ্বোধনকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ড. ইয়াসমীন আরা লেখা বলেন, উত্তরা ইউনিভার্সিটিতে উচ্চশিক্ষা গ্রহণের জন্য ৩৫টি প্রোগ্রাম রয়েছে এবং আমাদের স্লোগানই হচ্ছে ‘কোয়ালিটি এডুকেশন এট এফোর্টেবল টিউশন’। আমরা চলমান ভর্তি মেলা ফল-২০২৩ এবং স্থায়ী ক্যাম্পাসে স্থানান্তর উপলক্ষে ভর্তি ফিতে ৫০ শতাংশ ওয়েভার দিচ্ছি এবং ও লেভেল বা এ লেভেল শিক্ষার্থীদের জন্য ৯০ শতাংশ ছাড়ে ভর্তির ব্যবস্থা করেছি।
তিনি বলেন, আমরা প্রতিবছরই মেলার আয়োজন করলেও এবারের মেলায় আমদের শতভাগ ছাড় এবং বিশেষ ছাড় দেওয়া হচ্ছে আমাদের স্থায়ী ক্যাম্পাসে পাঠদান শুরু উপলক্ষে। আমরা খুব যাচাই-বাছাই করে শিক্ষক নিয়োগ দিয়ে থাকি। আমাদের এখান থেকে শিক্ষার্থীরা পাস করে বের হওয়ার পর খুব দ্রুতই তারা চাকরি পেয়ে যায়। কর্মসংস্থানের হিসেবে উত্তরা ইউনিভার্সিটি শিক্ষার্থীর অনেক এগিয়ে আছে। আমাদের এখানে অনেক ধরনের ল্যাব এবং ক্লাব আছে; যা শিক্ষক শিক্ষার্থীদের সবসময়ই এগিয়ে রাখছে।
ভর্তি মেলা কমিটির কনভেনার ও বিশ্ববিদ্যালয়টির ব্যবসা প্রশাসন বিভাগের চেয়ারম্যান কাজী তারেক উল্লাহ জানান, অ্যাডমিশন ফেয়ারে আমরা স্টুডেন্টদের ওয়ান স্টপ সার্ভিস দিয়ে থাকি। প্রতিবছর আমরা একটা অ্যাডমিশন ফেয়ার করে থাকি। আর সেখানে আমরা সর্বোচ্চ পরিমাণে ওয়েভার দিয়ে থাকি শিক্ষার্থীদের। আমরা মেধা-ভিত্তিক স্কলারশিপও দিয়ে থাকি। পাশাপাশি অ্যাডমিশন ফেয়ার উপলক্ষে ওয়েভার দিয়ে থাকি। যেহেতু আমরা স্থায়ী ক্যাম্পাসে স্থানান্তরিত হয়ে যাব তাই অ্যাডমিশন ফেয়ার আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এ উপলক্ষে আমরা শিক্ষার্থীদের বড় ধরনের ছাড় দিচ্ছি। এছাড়াও আমরা মেলায় শিক্ষার্থীদের কাছে থেকে ব্যাপক সাড়া পাচ্ছি। আমরা আশা করছি তা মেলার শেষ দিন পর্যন্ত থাকবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার কাজী মহিউদ্দিন বলছেন, আমাদের এখানে উচ্চশিক্ষার যাবতীয় সুযোগ-সুবিধা রয়েছে; আমাদের নতুন ক্যাম্পাসে তা আরও বাড়ানো হয়েছে শিক্ষার্থীদের জন্য। নতুন ক্যাম্পাসে সকল শিক্ষাবান্ধব সুবিধার সাথে গবেষণার সুবিধাও বৃহৎ পরিসরে বাড়ানো হয়েছে। উচ্চশিক্ষার একটি অন্যতম বড় ক্ষেত্রই হচ্ছে গবেষণা; আমরা গবেষণায় জোর দিতে চাই এবং এ সুযোগকে কাজে লাগিয়ে আমরা দেশের শীর্ষ ১০ বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে থাকতে চাই এবং আমরা আশা করছি অচিরেই তা অর্জন করতে সক্ষম হবো।
আয়োজকের পক্ষ থেকে জানানো হয়, এবারের ভর্তি মেলায় অনার্স প্রোগ্রামের মধ্যে সিভিল, টেক্সটাইল, ইইই, ম্যাথ-এ ৫০%, অন্যান্য সকল অনার্স প্রোগ্রামে নূন্যতম ৩০% (আইন বিভাগ ব্যাতীত), এমএ বাংলা ৫০%, সকল সান্ধ্যকালীন প্রোগ্রামে ৬০%, মাস্টার্স প্রোগ্রামে ২৫%, এমিবএ-ইএমিবএ-এলএলএম (২ বছর) প্রোগ্রামে ৪৫% এবং আইন বিভাগে ৫% টিউশন ফি ছাড়ে ভর্তি চলছে। চার বছরের প্রোগ্রামগুলোর মধ্যে আইন বিভাগ ব্যতীত এসএসসি ও এইচএসসিতে জিপিএ-৫ প্রাপ্তদের ফলাফলের উপরে ১০০% পর্যন্ত স্পেশাল স্কলারশিপে ভর্তি চলছে।
এদিকে, উদ্বোধনের পরপর ভর্তি সম্পর্কিত বিভিন্ন তথ্য জানতে মেলায় আসেন ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকরা। তাদের ভর্তি ও স্কলারশিপ সংকআরন্তদ সকল তথ্য প্রদান করছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তারা। পাশাপাশি মেলায় সব বিভাগের পক্ষ থেকে আলাদা আলাদা স্টল বসানো হয়েছে শিক্ষার্থীদের জন্য। সেখানেও ঘুরে দেখছেন ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকরা।