বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনায় যুক্ত হচ্ছেন অ্যালামনাইরা
দেশে বেসরকারি উদ্যোগে গড়ে উঠা বিশ্ববিদ্যালয়গুলো পরিচালনায় সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যালামনাইদের সংযুক্ত করার আইন করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আইনটি পাস হলে প্রথমবারের মতো অ্যালামাইনরা বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনায় ভূমিকা রাখার সুযোগ পাবেন।
সম্প্রতি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন-২০১০ সংশোধনের উদ্যোগ নিয়েছে তদারকি সংস্থা বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন (ইউজিসি)। প্রস্তাবিত খসড়া থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
খসড়া আইনের প্রস্তাবে ঢাকা ও অন্যান্য সিটি করপোরেশন এলাকার জন্য ৮ কোটি এবং জেলা শহরের জন্য ৫ কোটি টাকার তহবিল সম্পূর্ণরূপে দায়মুক্ত অবস্থায় রাখার কথা বলা হয়েছে। বর্তমান আইনে ঢাকা শহরের জন্য ৫ কোটি, অন্যান্য মেট্রোপলিটন সিটির জন্য ৩ কোটি এবং জেলা শহরের জন্য ২ কোটি টাকার সংরক্ষিত তহবিল রাখার বিধান রয়েছে।
প্রস্তাবিত খসড়া আইনে আরও বলা হয়েছে, কোনো বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় এমন কোনো নামে স্থাপন করা যাবে না, যে নামে এই আইন বা অন্য কোনো আইনের অধীন কোনো স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় বা বিদেশে কোনো স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় ইতোপূর্বে স্থাপিত হয়ে সে নামে বহাল আছে বা যে নামে আগে কোনো স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় বহাল ছিল কিন্তু বর্তমানে সে নামে কোনো বিশ্ববিদ্যালয় বহাল নেই বা সে নামের সঙ্গে প্রস্তাবিত নামের সাদৃশ্য আছে। এ ছাড়া জেলা, শহর, বিভাগ ও দেশের নাম, ‘জাতীয়’, ‘আন্তর্জাতিক’ এই ধরনের কোনো শব্দ ব্যবহার করে কোনো বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় প্রস্তাব করা যাবে না।
ইউজিসি সূত্রে জানা গেছে, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো সম্পর্কে তাদের অ্যালামনাইরা সবচেয়ে ভালো জানেন। বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনার ক্ষেত্রে অ্যালামনাইদের যুক্ত করা গেলে তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম থেকে শুরু করে নানা উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে পারবে। সেজন্য প্রস্তাবিত খসড়া আইনে বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনায় অ্যালামনাইদের যুক্ত করার প্রস্তাব করা হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে খসড়া প্রণয়ন কমিটির আহ্বায়ক ও ইউজিসির সদস্য (বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়) অধ্যাপক ড. বিশ্বজিৎ চন্দ দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনায় যে আইন রয়েছে সেটি অনেক পুরোনো। এই আইনের সংশোধনী খুব জরুরি। আমরা বেশি কিছু সংশোধনী দিয়ে প্রস্তাব পাঠিয়েছি। এটি চূড়ান্ত হলে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর লাগাম টেনে ধরা যাবে।
তিনি আরও বলেন, দেশের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর নাম নিয়ে অনেকে সমস্যা রয়েছে। তারা ইউরোপ-আমেরিকার নাম ব্যবহার করে। আবার আন্তর্জাতিকও ব্যবহার করে। বিশ্বের অন্যান্য দেশে এটি নেই। আইনের খসড়াটি চূড়ান্ত হলে আমাদের দেশেও আর এই সুযোগ থাকবে না।