বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে পিএইচডি ডিগ্রি চালুর ইঙ্গিত শিক্ষামন্ত্রীর
দেশে অনেক পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের পিএইচডি ডিগ্রি দেওয়ার অনুমোদন থাকলেও কোনো বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় পিএইচডি ডিগ্রি দিতে পারে না। এ বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন সময় আলোচনা-সমালোচনাও হয়েছে। সর্বশেষ গত জানুয়ারিতে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৩ সালের স্প্রিং সেমিস্টারের শিক্ষার্থীদের নবীনবরণ অনুষ্ঠানে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় বিশেষ করে নর্থসাউথে পিএইচডি ডিগ্রি শুরুর ব্যাপারে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিলেন। এর আগেও বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন (ইউজিসি) ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সংশ্লিষ্টরা বিষয়টি পক্ষে-বিপক্ষে মত দিয়েছিলেন।
রবিবার (১৯ মার্চ) বিষয়টি নিয়ে কথা বলছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। তিনি ইঙ্গিত দিয়েছেন, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে পিএইচডি ডিগ্রি প্রদানের অনুমতির ব্যাপারে। বেসরকারি বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় পিএইডি ডিগ্রি প্রদানের যোগ্যতা অর্জন করেছে বলেও জানান তিনি।
বেসরকারি ইনডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের সমাবর্তনে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আমরা মনে করছি বেসরকারি বেশ করয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় পিএইচডি ডিগ্রি প্রদানের যোগ্যতা অর্জন করেছে। এ বিষয়ে খুব শিগগির বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের সাথে কথা বলবো।
২০২০ সালে ভালো মানের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর বাছাইকৃত বিভাগে পিএইচডি ও এমফিল প্রোগ্রাম অনুমোদন চেয়ে ইউজিসিতে চিঠি দিয়েছিল বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সমিতি। চিঠিতে সমিতির নেতারা বলেছিলন, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে পিএইচডি ও এমফিল প্রোগ্রাম চালুর বিষয়টি বিবেচনা করা এখন জরুরি।
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে পিএইচডি দেয়ার অনুমতির বিষয়ে গত বছর ইউজিসি সদস্য অধ্যাপক আলমগীর বলেছিলেন, পিএইচডি ডিগ্রি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সুপারভাইজারকে অতিক্রম করতে হবে একজন গবেষককে। সুপারভাইজার যে বিষয়টি জানেন, সেটি দিয়ে পিএইচডি হবে না। আমি যেটি জানি না, পিএইচডি স্কলারকে সেটি বলতে হবে তার গবেষণায়। সেই লেভেলে একজন পিএইচডি স্কলারকে নিয়ে যেতে হলে গবেষণার ক্ষেত্র তৈরি করতে হবে। গবেষণার কালচার তৈরি করতে হবে। নিয়মিত গবেষণার পরিবেশ প্রস্তুত করতে হবে। শিক্ষার্থীদের যারা গাইড করতে পারবেন, তাদেরকে বিশ্ববিদ্যালয়ে আনতে হবে। সব মিলিয়ে ইউজিসি এখনো কনভিন্সড না।
তিনি বলেন, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে পিএইচডি দেয়ার অনুমতি দিলে সাথে সাথে যে অজুহাত আমরা অনুভব করছি বা দেখতে পাচ্ছি, তাতে সেই অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে আমাদের যেতে হবে কিনা? কিন্তু আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি, বিশ্ববিদ্যালয়ে সব ধরনের গবেষণা ও শিক্ষার সুযোগ দিতে হবে। এ ক্ষেত্রে কোনো রেসট্রিকশন দেয়া যাবে না। বরং যদি কেউ আইনের ব্যত্যয় ঘটায় আমি তাকে ধরব। সঙ্কটের কথা চিন্তা করে কেনো সম্ভাবনা বন্ধ করব। আমরা ইউজিসির সবাই মিলে চেষ্টা করছি।