‘ইংরেজি ভাষায়’ বাংলা ভাষা শহীদদের স্মরণ ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির

ভাষা শহীদদের শ্রদ্ধা জানিয়ে ব্রাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যানার
ভাষা শহীদদের শ্রদ্ধা জানিয়ে ব্রাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যানার  © টিডিসি ফটো

আজ ২১ ফেব্রুয়ারি। ১৯৫২ সালের এই দিনেই বাংলা ভাষার জন্য প্রান দিয়েছিলেন সালাম, বরকত, রফীক, জব্বারসহ বাংলা মায়ের সূর্য সন্তানরা। এরপর থেকে প্রতিবছরই দিনটিকে গভীর শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করা হয়। বিশেষত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো নানা আয়োজনে স্মরণ করে থাকে ভাষা শহীদদের।

অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ন্যায় ভাষা শহীদদের স্মরণে বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করেছে সনামধন্য বেসরকারি উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ব্রাক বিশ্ববিদ্যালয়ও। তবে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে প্রতিষ্ঠানটির টাঙানো একটি ব্যানারকে ঘিরে দেখা দিয়েছে তীব্র সমালোচনা।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ছবিতে দেখা যায়, শহীদ মিনারের ছবি দিয়ে তৈরি করা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোগো সম্বলিত একটি ব্যানারে ইংরেজি ভাষায় শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা এবং ভালোবাসা প্রকাশ করা হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের দেয়ালের সাথে টাঙানো ব্যানারটির ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশ হওয়ার পরপরই ছবিটিকে ঘিরে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। হাজী দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মাহমুদুল হাসান শাকিল লিখেছেন, ‘দেখছেন এলিটদের ভাষা! বাংলা এখন স্বয়ং বাংলাদেশেই মধ্যবিত্ত শ্রেণির ভাষা। যারা ইংরেজি অ্যাফোর্ড করতে পারে না তারাই আজ শুধু বাংলা ব্যবহার করে । কী অদ্ভুত ইতিহাস!’

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ফজলে রাব্বি লিখেছেন, ‘বাংলা ভাষায় কথা বলার অধিকার অর্জন করতে ১৯৫২ তে ভাষা শহীদরা প্রাণ বিসর্জন দিয়েছিলেন। অথচ প্রাণের বিনিময়ে পাওয়া সেই ভাষাকেই আজ আমরা অবহেলা-অবজ্ঞা করি। যে যত ভালো ইংরেজি বলতে পারে তাকে তত স্মার্ট মনে করি। আর চাকরির পরীক্ষায় বাংলায় উত্তর দিলেতো অপমানিত অবধি হতে হয়৷ ব্রাকের এই ব্যানার তাই স্বাভাবিকই বটে!’

এদিকে, সমালোচনার পাশাপাশি কয়েকজনকে আবার ব্রাকের পক্ষেও সরব হতে দেখা গেছে। নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী এবং ব্রাকের বর্তমান টিচিং এসিস্ট্যান্ট আসিফ রাফি লিখেছেন, ‘কোন সমস্যা তো দেখছিনা। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ও ভাষা শহিদ দিবস এর শুভেচ্ছা জানিয়েছে। বাংলাতেও ব্যানার থাকার কথা কিন্তু সেই ছবি না তুলে শুধু ইংরেজিতে তৈরি ব্যানারটার ছবি দেওয়া হতে পারে।’

তিনি আরো লিখেছেন, ‘সেখানে অনেক ফরেন ফ্যাকাল্টি মেম্বার এবং স্টুডেন্ট রয়েছে। তারা বাংলা পড়তে পারবেনা স্বাভাবিক। পজিটিভলি চিন্তা করেন, বাইরের দেশের মানুষরাও আমাদের আত্মত্যাগ গুলো বুঝতে শুরু করবে।’


সর্বশেষ সংবাদ