ন্যানোস্যাটেলাইট তৈরি করছে আহছানউল্লা বিশ্ববিদ্যালয়
আহছানউল্লা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সমন্বয়ে তৈরি হচ্ছে বহুল তথ্য বিশিষ্ট একটি ন্যানোস্যাটেলাইট। বিশ্ববিদ্যালয়ের ইলেক্ট্রিক্যাল এন্ড ইলেক্ট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের তত্ত্বাবধানে দুই ইউনিট বিশিষ্ট এ ন্যানোস্যাটেলাইটটি তৈরি হচ্ছে। এটির প্রথম ধাপে মেকানিক্যাল মডেল তৈরির কাজ ইতিমধ্যে সফলভাবে শেষ হয়েছে। এখন পরবর্তী ধাপে ফ্লাইট মডেলের কাজ চলমান রয়েছে।
স্যাটেলাইটটি তৈরির কাজে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, আবিষ্কৃত ন্যানোস্যাটেলাইট রিমোট সেন্সিং ও সায়েন্টফিক স্টাডিজ, ট্রাফিক ম্যানেজমেন্ট, যোগাযোগ, কৃষি এবং ভূতত্ত্ব জরিপসহ বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করা যাবে। দুই ইউনিট বিশিষ্ট ন্যানোস্যাটেলইটটির আয়তনে ১০ সেমি × ১০ সেমি × ২২.৩৫ সেমি।
এটির তত্বাবধান রয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়টির ইলেক্ট্রিক্যাল এন্ড ইলেক্ট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ড. তারেক আজিজ এবং সুপারভাইজার হিসেবে আছেন অধ্যাপক ড. ওমর ফারুক। তারা জানিয়েছেন, স্যাটেলাইটটি ভূপৃষ্ঠ থেকে প্রায় চারশত কি. মি. উচ্চতায় স্থাপন করা হবে। পর্যবেক্ষণ ও গবেষণার জন্য এটির গ্রাউন্ড স্টেশন বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে স্থাপনের পরিকল্পনা রয়েছে তাদের।
শিক্ষক ছাড়াও এ ন্যানোস্যাটেলাইট তৈরিতে কাজ করছেন বিশ্ববিদ্যালয়টির বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী। তারা হলেন- মাহদী হাসান, মুহাম্মদ আব্দুস শাকুর সিয়াম, আ. ন. ম. আল মুহি, মারুফ হোসাইন ও মিরাজ হোসাইন। তাদের এ দলে আরও ১০ জন যুক্ত হওয়ার কথা রয়েছে।
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের বাণিজ্যিক সেবা উদ্বোধন
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের কারণে ফণির ক্ষয়ক্ষতি কমানো গেছে
ন্যানোস্যাটেলাইট টিমের সদস্য মাহদী হাসান জানান, গত বছরের জুন মাস থেকে শুরু করা হয় এ প্রকল্প তৈরির কাজ। ডিপার্টমেন্টের সহযোগিতায় শুরুতে সদস্য সংখ্যা ৫ জন থাকলেও বর্তমানে দশজন ছাত্র ও ১৬-১৭ জন শিক্ষকের সমন্বয়ে কাজ চলছে। স্যাটেলাইটের ধারাবাহিক দুটি ধাপের প্রথম ধাপ মেকানিক্যাল মডেল তৈরির কাজ সফলভাবে শেষ হয়েছে। পরবর্তী ধাপে ফ্লাইট মডেল যেটা মহাকাশে পাঠানো হয় সেটা নিয়ে কাজ চলছে।
জানতে চাইলে আহসানউল্লাহ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ফজলি এলাহী দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, আমাদের এ ন্যানোস্যাটেলাইট দিয়ে দেশের যেসব সমস্যাগুলো আছে সেগুলো চিহ্নিত করে সমাধান করা সম্ভব হবে। বিশেষ করে কৃষি ও ভূমি সংক্রান্ত এসবের সমস্যাগুলো সমাধান করা সম্ভব হবে।
তিনি বলেন, শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের তৈরি ন্যানোস্যাটেলাইটের মডেলটি বাংলাদেশ স্যাটেলাইট অফিসে আলোচনা হয়েছে। তারা পরবর্তী ধাপ অর্থাৎ ফ্লাইট মডেল তৈরিতে তাদের মতো করে সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন গবেষক দলকে সর্বোচ্চ সাপোর্ট করছেন। এ ধাপের কাজ সফলভাবে সম্পন্ন হলে আমাদের পরিকল্পনা হলো বিদেশি কোনো কোম্পানির সঙ্গে চুক্তির মাধ্যমে এটির লঞ্চ করার ব্যবস্থা করা।