১২ ডিসেম্বর ২০২২, ২২:০৫

বছরে দুই সেমিস্টারে আপত্তি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সমিতির

বছরে দুই সেমিস্টারে আপত্তি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সমিতির
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়  © লোগো

আগামী জানুয়ারি থেকে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে বছরে তিন সেমিস্টারের বদলে দুই সেমিস্টারে পাঠদানে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) নির্দেশনায় আপত্তি জানিয়েছে বাংলাদেশ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সমিতি। আজ সোমবার এ বিষয়ে ইউজিসিকে চিঠি দেওয়া হয়েছে জানিয়ে সংগঠনের সভাপতি শেখ কবির হোসেন বলেন, এর আগে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনির কাছেও সমিতি নিজেদের আপত্তি তুলে ধরেছে।

এদিন রাজধানীর বনানীর ফারইস্ট ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরও জানান, কমিশনের এ সিদ্ধান্ত মানবে না বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো।

বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সমিতির সভাপতি ও ফারইস্ট ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির বোর্ড অব ট্রাস্ট্রিজের চেয়ারম্যান শেখ কবির হোসেনের দাবি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে আলোচনা না করেই কমিশন নতুন এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ভ্যাটবিরোধী আন্দোলনের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে তিনি বলেন, তাদের হাতে কলম আছে, তারা চালিয়ে দিয়েছে। কিন্তু আলোচনার মাধ্যমে সবকিছুই হতে পারে। আমরা তাদের আলোচনা করতে বলেছি। তা না হলে আগামী বছরও আমরা আগের মতই যেখানে তিন সেমিস্টার আছে, যেখানে দুই সেমিস্টার- সেখানে সেভাবেই চলবে।

দেশে বর্তমানে ১০৮টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে। সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে বছরে দুই সেমিস্টারে পাঠদান চললেও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশির ভাগে তিন সেমিস্টারে শিক্ষার্থীদের পড়ানো হচ্ছে।

শেখ কবির হোসেনের দাবি, সেমিস্টার কমিয়ে আনলে শিক্ষার্থীদের ব্যয় বাড়বে, বিশ্ববিদ্যালয়গুলো আর্থিকভাবে চাপে পড়বে। এখন বিদেশিরা পড়তে আসে, ডলার আসছে। আর এখানে ব্যয় বাড়লে দেশের শিক্ষার্থীরা বাইরে যাবে, ডলারের ক্রাইসিস আরও বাড়বে।

ইউজিসির সিদ্ধান্ত পরিবর্তনে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপও চেয়েছে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর এই সমিতি। দেশে বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা চালাতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন দেওয়া নিয়েও আপত্তি রয়েছে সমিতির।

বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়কে যেসব মর্ত মেনে কার্যক্রম চালাতে হয়, বিদেশি প্রতিষ্ঠানের জন্যও একই ধরনের নীতিমালা চান শেখ কবির হোসেন।

তিনি বলেন, কোন শাখা নয়, পূর্ণাঙ্গ ক্যাম্পাস করুক তারা। তাতে আমাদের কার্যক্রমও আরও স্মার্ট হবে। আমাদের অনেক শর্ত মানতে হয়, নন-প্রফিটেবল হতে হয। আর বিদেশিরা একটা ছোট শাখা খুলে প্রফিট নিয়ে যাবে, এটা তো হতে পারে না।