গবিতে ভেটেরিনারি চতুর্থ ব্যাচের উৎসবমুখর বিদায়
সাভারের গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেটেরিনারি এন্ড এনিমেল সায়েন্সেস অনুষদের চতুর্থ ব্যাচের শিক্ষার্থীদের শিক্ষা সমাপনী উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১ ডিসেম্বর) দুপুরে অনুষদের ২য় তলার হলরুমে উৎসব মুখর পরিবেশে বিদায় নেন ২৪ শিক্ষার্থী।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, ভেটেরিনারি এন্ড এনিমেল সায়েন্সেস অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. জহিরুল ইসলাম খান, সার্জারি শিক্ষক ডা. শামসুর রাহমান, এনিমেল প্রোডাকশন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ডা. আব্দুর রহমান। এছাড়াও অনুষদের অন্যান্য শিক্ষক ও বিদায়ী শিক্ষার্থীরা।
আরও পড়ুন: অধ্যাপক ছাড়াই চলছে চার বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়
বিদায়ী ব্যাচের শিক্ষার্থী হাসিব রওনকের উপস্থাপনায় অনুষ্ঠানের শুরুতে বক্তব্য প্রদান করেন ক্লিনিক্যাল বিভাগের সার্জারি শিক্ষক ডা. শামসুর রাহমান। এরপর বক্তব্য রাখেন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. জহিরুল ইসলাম খান। এসময় তিনি বলেন, এক সময় ভেটেরিনারি শিক্ষা অনেক পিছিয়ে ছিল বর্তমানে এটা সুদূরপ্রসারী হয়েছে। বিশেষ করে নারীরা অনেক পিছিয়ে ছিল তাদের যথেষ্ট অগ্রগতি হয়েছে। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের তুলনায় প্রাইভেটের শিক্ষার্থীদের সাফল্য ঈর্ষনীয়। আমার মতে পাবলিকে সরকারি পয়সায় পড়াশোনা করে বলে তেমন গুরুত্ব বুঝে না শিক্ষার্থীরা। গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেটেরিনারি শিক্ষার্থীরা অনেক ভালো করছে। আমি তোমাদের উত্তরোত্তর সাফল্য কামনা করি।
বিদায়ী ব্যাচের পক্ষ থেকে বক্তব্য দেন তানভীর আহম্মেদ। তিনি বলেন, একটা সময় শিক্ষা জীবন শেষ করার জন্য অপেক্ষার প্রহর গুনতাম। আজ যখন সেই সময়ে এসে পৌঁছেছি তখন উপলব্ধি করলাম ভুল কিছুর অপেক্ষা করেছি এতোদিন। ছাত্র জীবনের মতো এতটা সুন্দর সময় আর কোন ভাবে পাওয়া যায় না। সময় বহমান তাই সময়ের সঙ্গে সঙ্গে নিজেকেও বইয়ে নিতে হয়। সামনের কঠিন লক্ষ্যকে ধারণ করতে যে শিক্ষকগণ আমাদের এতটা সময় দিয়েছেন তাদের অনেক ধন্যবাদ। আশা করি, তারা সবসময় এভাবেই আমাদের পাশে থাকবেন।
অনুষ্ঠানের শুরুতে শিক্ষকদের দুপুরের আপ্যায়ন করা হয়। শেষের দিকে বিদায়ী কেক কাটা, মিষ্টিমুখ, এবং প্রতিটি শিক্ষকের সাথে তোলা স্মৃতিচারণ মূলক ছবি প্রদান করা হয়। সবশেষ চমক ছিল উপহার বিতরণ। প্রতিটি উপহারের সঙ্গে জুড়ে দেওয়া হয় র্যাফেল নাম্বার। নাম্বার অনুযায়ী দেওয়া হয় নানা রকমের উপহার।
উল্লেখ্য, গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেটেরিনারি এন্ড এনিমেল সায়েন্সেস অনুষদের যাত্রা শুরু হয় ২০১৬ সালে। ৫ বছর মেয়াদী কোর্সে বর্তমানে চারশতাধিক শিক্ষার্থী অধ্যয়ন করছে। চতুর্থ ব্যাচ পর্যন্ত আসন সংখ্যা ছিল ২৫টি। ৫ম ব্যাচ থেকে ৫০টি আসনে উন্নীত করে ইউজিসি। বর্তমানে ১৫ তম ব্যাচ চলমান রয়েছে।