নর্থ সাউথের সাবেক এক ট্রাস্টির জামিন স্থগিত, অন্যজনের বহাল
অর্থ আত্মসাতের মামলায় নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের এম এ কাশেমকে দেওয়া হাইকোর্টের জামিন স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। যদিও সাবেক ট্রাস্টি রেহানা রহমানের জামিন বহাল রাখা হয়েছে
আজ রবিবার এ আদেশ দেন চেম্বার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম। এ দুজনের জামিন স্থগিত চেয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনের আবেদনের শুনানির পর এই আদেশ দেওয়া হয়। এ মামলায় গত ২২ মে হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ আগাম জামিন আবেদন খারিজ করে। অতঃপর তাদের পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছিলেন। এর পরদিন তাদের নিম্ন আদালত তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। সেই থেকে তারা কারাগারে আছেন।
আরও পড়ুন: দক্ষিণ এশিয়ায় ৯২তম, দেশে ৬ষ্ঠ, প্রকৌশলে ২য় চুয়েট
পরে বিচারিক আদালতে জামিন চেয়ে ব্যর্থ হলে হাইকোর্টে জামিন আবেদন করেন তারা। হাইকোর্ট গত ১০ নভেম্বর তাদের জামিন দেন। তাদের জামিন দেওয়া হয় দেশের বাইরে এবং অনুমতি ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ে যেতে পারবেন না এমন শর্তে।
দুদকের আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান জানিয়েছেন রেহানা রহমানের জামিন স্থগিত না করায় হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন) করা হবে। সাবেক দুই ট্রাস্টির আইনজীবী সাঈদ আহমেদ রাজা গণমাধ্যমকে বলেন, রেহানা রহমানের জামিন স্থগিতের আবেদনে ‘নো অর্ডার’ দিয়েছেন চেম্বার আদালত। আর এম এ কাশেমের জামিন স্থগিত করে দুদকের আবেদনটি আগামী ২১ নভেম্বর আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে শুনানির জন্য নির্ধারণ করে দিয়েছেন। জামিন বহাল থাকায় রেহানা রহমানের মুক্তিতে বাধা নেই।
প্রসঙ্গত নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের জমি কেনা বাবদ অতিরিক্ত ৩০৩ কোটি ৮২ লাখ টাকা ব্যয় দেখিয়ে তা আত্মসাতের অভিযোগে বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যানসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে গত ৫ মে মামলা করেন দুদকের উপপরিচালক মো. ফরিদ আহমেদ পাটোয়ারী।
মামলায় বলা হয়, নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে পাশ কাটিয়ে ট্রাস্টি বোর্ডের কয়েকজন সদস্যের অনুমোদন/সম্মতির মাধ্যমে ক্যাম্পাস উন্নয়নের নামে ৯০৯৬ দশমিক ৮৮ ডেসিমেল জমির দাম ৩০৩ কোটি ৮২ লাখ ১৩ হাজার ৪৯৭ টাকা বেশি দেখিয়ে তা আত্মসাৎ করা হয়েছে।