২৭ আগস্ট ২০২২, ১১:৫৯

শিক্ষকের চেয়ারে সুপার গ্লু লাগিয়ে উল্লাস করেন শিক্ষার্থীরা

প্রধান শিক্ষক আবুল কাশেম  © সংগৃহীত

বিদ্যালয়ে ক্লাস চলাকালীন সময়ে শিক্ষকের চেয়ারে সুপার গ্লু লাগিয়ে আনন্দে মেতেছেন শিক্ষার্থীরা। এতে ওই শিক্ষক শিক্ষার্থীদের মৃদুভাবে শাসন করেন। শিক্ষার্থীদের শাসনের এ ঘটনায় পরেরদিন তাদের অভিভাবকরা ওই শিক্ষককে বেধড়ক মারধর করেন। পরে তাকে স্থানীয় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। সাতক্ষীরার শ্যামনগরে এ ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনায় গতকাল শুক্রবার (২৬ আগস্ট) রাত সাড়ে ৮টার দিকে গোবিন্দপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবুল কাশেম শ্যামনগর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।

লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, বুধবার পঞ্চম শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় ক্লাস নেওয়ার সময় প্রধান শিক্ষক আবুল কাশেম সাদা বোর্ডে লিখছিলেন। সে সময় শিক্ষার্থীরা প্রধান শিক্ষকের চেয়ারে সুপার গ্লু লাগিয়ে দেয় এবং তাকে  বসতে বলেন। কিছুক্ষণ পর আবার উঠতে বললে, চেয়ারে থাকা সুপার গ্লু আমার প্যান্টের সঙ্গে আটকে যায়। এ ঘটনায় শিক্ষার্থীরা হাততালি দিতে থাকলে একটি পর্যায়ে শিক্ষক শিক্ষার্থীদের মৃদুভাবে কয়েকটি মারেন। 

এ ঘটনার পরের দিন স্কুলের কাজ শেষ করে শ্যামনগর শিক্ষা অফিস যান তিনি। শিক্ষা অফিসের কাজ শেষে বাড়ি ফেরার সময় গোবিন্দপুর মুজিবর হাজির বাড়ির সামনে পৌঁছালে আগে থেকে ওৎ পেতে থাকা শিক্ষার্থীর বাবা আলমগীর হোসেন, সাইফুল ইসলাম, মজিবর রহমান, সেকেন্দার আলীসহ ৪-৫ জন আমাকে বেধড়ক মারধর করেন এবং আমার কাছে থাকা নগদ অর্থ ছিনিয়ে নেয়। স্থানীয়রা দ্রুত উদ্ধার করে আমাকে শ্যামনগর হাসপাতালে ভর্তি করেন।

আরও পড়ুন: ফেসবুকে হাহা রিঅ্যাক্ট থেকে এত কিছু!

লিখিত অভিযোগে তিনি উল্লেখ রয়েছে, আমি দীর্ঘ দিন ধরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করছি। স্কুলের জায়গা নিয়ে স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে বিভেদ চলে আসছে। স্কুলের জায়গা উদ্ধার করার জন্য আমি চেষ্টা করায় আমাকে বিভিন্ন সময় মামলা-হামলা করে হেনস্থা করে আসছে। তারা আমাকে চাকরি করতে দেবে না বলেও হুমকি-ধমকি দিচ্ছেন। এর ধারাবাহিকতা আমার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা দিয়ে চাকরিচ্যুত করার চেষ্টা করছে।

শ্যামনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী ওয়াহিদ মোর্শেদ গণমাধ্যমকে জানান, শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে অভিযোগপত্র জমা দিয়েছে শিক্ষক আবুল কাশেম। বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে পর্যালোচনা করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।