প্রাথমিকের ৪৫ হাজার শিক্ষক নিয়োগের চূড়ান্ত ফল অক্টোবরে
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৪৫ হাজার সহকারী শিক্ষক পদের চূড়ান্ত ফলাফল আগামী অক্টোবরে প্রকাশিত হতে পারে। ফল প্রকাশের পর দ্রুত প্রার্থীদের চাকরিতে যোগ দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে।এখন তৃতীয় ধাপের মৌখিক পরীক্ষা চলছে। আগামী ২০ সেপ্টেম্বর এ পরীক্ষা শেষ হবে।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর (ডিপিই) সূত্রে জানা গেছে, অক্টোবরেই চূড়ান্ত ধাপে পাস করা প্রার্থীদের যোগদানের প্রক্রিয়াও শুরু হবে।
জানতে চাইলে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ও ডিপিই’র মহাপরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মো. মহিবুর রহমান বলেন, ‘লিখিত পরীক্ষা শেষ হয়েছে। বর্তমানে মৌখিক পরীক্ষা চলমান। এরইমধ্যে দুটি ধাপের পরীক্ষা শেষে তৃতীয় ধাপের মৌখিক পরীক্ষা নেওয়া হচ্ছে। সেপ্টেম্বরের ২০ তারিখে এ পরীক্ষা শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।’
আরও পড়ুন: ফেসবুক-ইউটিউব দেখে মন্ত্রণালয়ের ডাটা শেষ করছে প্রাথমিক শিক্ষকরা
তিনি বলেন, ‘পরীক্ষা তিন ধাপে নেওয়া হলেও চূড়ান্ত ফল একবারে প্রকাশ করা হবে। অক্টোবরের প্রথম দিকে ফল প্রকাশ করা হতে পারে। ফল প্রকাশের পর নির্বাচিত প্রার্থীদের ওইমাস থেকেই যোগদান প্রক্রিয়া শুরু হবে।’
এর আগে প্রেস ব্রিফিংয়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন জানান, প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শূন্যপদে শিক্ষক নিয়োগের লিখিত পরীক্ষার ফল প্রকাশের পর মৌখিক পরীক্ষা শুরু হয়েছে। বর্তমানে তৃতীয় ধাপের মৌখিক পরীক্ষা চলমান। সেপ্টেম্বরের মধ্যে চূড়ান্ত ফল প্রকাশের পর যোগদান করানো হবে। এ নিয়োগ কার্যক্রমের মাধ্যমে সারাদেশে ৪৫ হাজার শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হবে।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, চূড়ান্ত ফলাফলে প্রতিটি উপজেলা/ শিক্ষা থানার জন্য নিয়োগযোগ্য প্রার্থীদের তালিকা ছাড়া অন্য কোনো অপেক্ষমাণ তালিকা/ প্যানেল প্রস্তুত করা হবে না। অর্থাৎ চূড়ান্ত ফলাফলে কোনো অপেক্ষমাণ তালিকা বা প্যানেল থাকবে না।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, ‘সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা ২০১৯’ অনুসরণ করে সম্পূর্ণ স্বচ্ছতা ও নিরপেক্ষতার সঙ্গে সহকারী শিক্ষক নিয়োগপ্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হচ্ছে। উত্তরপত্র মূল্যায়নসহ ফলাফল প্রস্তুতের সব কাজ সফটওয়্যারের মাধ্যমে স্বয়ংক্রিয়ভাবে করা হয়। এ ক্ষেত্রে কোনো ধরনের অবৈধ হস্তক্ষেপের সুযোগ নেই।
মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্টরা জানান, প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগ দিতে ২০২০ সালে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। কিন্তু করোনা পরিস্থিতির কারণে দুই বছর পর তা শুরু করা হয়। তিন ধাপে দেশের ৬১টি জেলায় লিখিত পরীক্ষা শুরু করা হয়। এরপর ধাপে ধাপে লিখিত পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়।