২৮ পরীক্ষার্থী আটক, দুই জনের ছয় মাসের কারাদণ্ড
প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় হলে ডিজিটাল ডিভাইস ব্যবহার, ভুয়া প্রশ্নপত্র সরবরাহ ও গুজব সৃষ্টির অভিযোগে ২৮ পরীক্ষার্থীকে আটক ও দুইজনকে ছয় মাসের কারাদন্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
শুক্রবার (২২ এপ্রিল) পরীক্ষার পর প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক আলমগীর মুহম্মদ মনসুরুল আলম জানান, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচার চালিয়ে ভুয়া প্রশ্নপত্র সরবরাহের চেষ্টা করাকালে লক্ষ্মীপুর জেলার রামগতি উপজেলায় ১০ জনকে হাতেনাতে আটক করা হয়েছে। আর লালমনিরহাট আদর্শ মহাবিদ্যালয় পরীক্ষা কেন্দ্রে পরীক্ষা ভণ্ডুল করার চেষ্টা করায় ১৮ জন পরীক্ষার্থীকে আটক করা হয়। এসব পরীক্ষার্থীরা প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ প্যানেল দাবিকারী। তারা আগের পরীক্ষার পর প্যানেলের দাবি তোলেন। তাদের উদ্দেশ্য ছিল পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হতে না দেওয়া। তাদের সবাইকে আটক করা হয়েছে। কেন্দ্রের অন্য প্রার্থীরা স্বাভাবিকভাবে পরীক্ষা দিতে পেরেছে।
আরও পড়ুন: প্রশ্ন ফাঁসের কোনো খবর পাইনি: প্রতিমন্ত্রী জাকির
তিনি আরও জানান, ডিজিটাল ডিভাইস ব্যবহার করে পরীক্ষায় অসদুপায় অবলম্বনের কারণে মাদারীপুরের চর মোহরিয়া উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্রের দুই পরীক্ষার্থীকে ছয় মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। এছাড়া দেশের ২২টি কেন্দ্রে সুষ্ঠু ও স্বাভাবিকভাবে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৪৫ হাজার সহকারী শিক্ষক নিয়োগের প্রথম ধাপের লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রথম ধাপের লিখিত পরীক্ষা শুক্রবার (২২ এপ্রিল) সকাল ১১টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত দেশের ২২টি জেলায় অনুষ্ঠিত হয়। এ নিয়োগে আবেদন করেছেন ১৩ লাখ ৯ হাজার ৪৬১ জন চাকরিপ্রার্থী। সেই হিসেবে প্রতি পদের জন্য লড়ছেন ২৯ জন।
আর দ্বিতীয় ধাপে ২০ মে ৩০ জেলায় এবং ৩ জুন তৃতীয় ধাপের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে ৩১টি জেলায়। পার্বত্য তিন জেলা ছাড়া মোট ৬১ জেলার প্রার্থীরা পরীক্ষায় অংশ নেবে।