প্রাথমিকের নিয়োগ পরীক্ষার আগাম প্রশ্ন দেয়ার প্রলোভন ফেসবুকে
সারাদেশে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে ৪৫ হাজার সহকারী শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষা শুরু হচ্ছে আজ শুক্রবার (২২ এপ্রিল)। আবেদনকারীর নিজ নিজ জেলায় বেলা ১১টা থেকে ১২টা পর্যন্ত লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। পরীক্ষা শুরুর এক ঘণ্টা আগে প্রার্থীদের কেন্দ্রে প্রবেশ করতে হবে। মোট তিন ধাপে হবে এবারের নিয়োগ পরীক্ষা।
পরীক্ষা শুরুর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার (২১ এপ্রিল) রাত থেকে পরীক্ষাকে সামনে রেখে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকসহ অন্যান্য যোগাযোগমাধ্যমগুলেতে ‘প্রশ্নসহ উত্তরপত্র’ ও ‘সাজেশন’ বিক্রির পোস্ট, লোভে পড়ে টাকা দিয়ে ধরাও খাচ্ছেন প্রার্থীদের কেউ কেউ।
‘শিক্ষক নিবন্ধন এবং প্রাইমারি শিক্ষক নিয়োগ ও সকল জব সাজেশন তথ্যকন্দ্র’ নামে একটি ফেসবুক গ্রুপে আব্দুল্লাহ আল মুরাদ নামে একজনে প্রশ্ন পাইয়ে দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে লিখেছেন, ‘‘সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার ১ম ধাপের পরীক্ষার প্রশ্নপত্র নিতে চাইলে ইনবক্স করুন। প্রশ্নপত্র অর্জিনাল হার্ড কপি দেয়া হবে। উত্তরপত্রসহ দেবো। হুবহু কমন পাবেন।’’
এছাড়া ফেসবুকের বিভিন্ন আরও পেজ-গ্রুপের একাধিক স্ট্যাটাসে প্রশ্ন পাইয়ে দেয়ার প্রলোভন নজরে এসেছে। এসব প্রলোভন পোস্টের মন্তব্যে ঘরে অনেকে প্রশ্ন পেতে আগ্রহী বলে জানান। প্রশ্ন পাইয়ে দেয়ার প্রলোভন দেখানো ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলতে তাদের ফেসবুকে দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসের পক্ষ থেকে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়েছে। প্রতিবেদনটি প্রকাশ হওয়া পর্যন্ত তাদের পক্ষ থেকে কোন ধরনের প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
আরও পড়ুন: প্রাথমিকের নিয়োগ পরীক্ষা আজ, হলে যেতে হবে ১ ঘণ্টা আগে
তবে এ বিষয়ে সতর্ক করে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে প্রশ্ন ফাঁসের কোন ধরনের সুযোগ নেই।
প্রাথমিকের নিয়োগ পরীক্ষার প্রথম ধাপে শুক্রবার ঢাকাসহ ২২টি জেলার বিভিন্ন উপজেলার প্রার্থীদের পরীক্ষা নেওয়া হবে। এরমধ্যে ১৪টি জেলার সব উপজেলা এবং ৮টি জেলার কয়েকটি উপজেলায় পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। আবেদনকারীর নিজ নিজ জেলায় বেলা ১১টা থেকে ১২টা পর্যন্ত লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
এর আগে গত ১২ এপ্রিল পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা করে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। সভায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে সব ডিআইজি, এসপিদের নিয়ে সভা করা এবং দিকনির্দেশনা দেওয়ার উদ্যোগ গ্রহণ করার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ জানান প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক।
এ ছাড়া প্রশ্নপত্র প্রণয়নের স্থান এবং কেন্দ্রগুলোতে মোবাইল নেটওয়ার্ক জ্যামারের ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য অনুরোধ জানান বিটিআরসিকে। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব সাবিরুল ইসলাম রমজান এবং ট্রাফিকের অবস্থায় বিবেচনায় পর্যাপ্ত সময় হাতে রেখে ওএমআর শিট ও প্রশ্নপত্র নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের তত্ত্বাবধানে সরবরাহের অনুরোধ করেন।