১৫ এপ্রিল ২০২২, ১২:৪৮

প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগে কোটা বাতিলের দাবি

চাকরিপ্রত্যাশীদের মানববন্ধন  © সংগৃহীত

প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষক নিয়োগে কোটা বাতিলের দাবি জানিয়েছেন চাকরিপ্রত্যাশীদের একাংশ। আজ শুক্রবার (১৫ এপ্রিল) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক মানববন্ধনে তারা এই দাবি জানান। ‘অধিকার বঞ্চিত বেকার সমাজ’ ব্যানারে মানববন্ধনটি অনুষ্ঠিত হয়।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির চাকরিতে (১-১৩তম গ্রেড) প্রবেশে সব ধরনের কোটা বাতিল করে প্রজ্ঞাপন প্রকাশ করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। সংবিধানেও নিয়োগবৈষম্য করা যাবে না বলে স্পষ্ট নির্দেশনা আছে। অথচ প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগে বিশেষ বিধান সংযুক্ত করেছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর, যা জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা ও সংবিধানের সঙ্গে পুরোপুরি সাংঘর্ষিক।

অধিকার বঞ্চিত বেকার সমাজের আহ্বায়ক তারেক রহমান বলেন, প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে ৬০ শতাংশ নারী কোটা, ২০ শতাংশ পোষ্য তথা পরিবার কোটা এবং ২০ শতাংশ পুরুষ কোটা রয়েছে। সংবিধানে স্পষ্ট বলা আছে, প্রতিবন্ধী এতিম বা অনগ্রসর শ্রেণিকে বিশেষ বিবেচনায় কোটা প্রদান করা যাবে, কিন্তু এখানে সেটি মানা হয়নি। প্রতিবন্ধীরা কোটা না পেলেও শিক্ষকদের সন্তান ও স্ত্রীর জন্য কোটা রাখা হয়েছে ২০ শতাংশ। এছাড়া নারী কোটা ৬০ শতাংশ করাটা অভিমাত্রায় হয়ে যায়।

আরও পড়ুন- চা-চপ বিক্রি করে স্কুল চালান প্রধান শিক্ষক

তিনি বলেন, নিয়োগের ক্ষেত্রে এ রকম বৈষম্যের কারণে বেকার যুবক শ্রেণি হতাশায় নিমজ্জিত হয়েছে। পরিবার ও সমাজের কাছে অনীহার বস্তুতে পরিণত হয়েছে। অনেক বেকার আত্মহত্যা করেছে।

মানববন্ধন থেকে বলা হয়, কোটা বাতিলে উচ্চ আদালতে রিট করা হয়েছে। এমন বৈষম্যমূলক কোটা বাতিলে উচ্চ আদালত রুল জারি করলেও এর মাঝেই প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর তাদের কোটা নীতি প্রয়োগ করে নিয়োগের তৎপরতা চালাচ্ছে। যা আদালতের স্পষ্ট অবমাননা। এমন হলে আমরা আদালত অবমাননার কারণে আইনের আশ্রয় নিতে বাধ্য হবো।