৩য় শ্রেণিতে অধ্যয়নরত ৬৬ শতাংশ শিশু পড়তে পারে না: ইউনিসেফ
করোনা মহামারির সময়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় প্রায় ৩ কোটি ৭০ লাখ শিশুর পড়তে ও গুনতে পারার প্রাথমিক দক্ষতার ঘাটতি উদ্বেগজনক মাত্রায় বেড়েছে বলে জানিয়েছে ইউনিসেফ। সংগঠনটি বলছে, এমন ঘাটতি মহামারির আগেও ছিলো।
আজ বুধবার (৩০ মার্চ) ‘শিশুরা কি সত্যিই শিখছে?’ শীর্ষক একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে ইউনিসেফ। সেই প্রতিবেদনে এমন তথ্য উঠে এসেছে।
প্রতিবেদনের তথ্য বলছে, বাংলাদেশে তৃতীয় শ্রেণিতে অধ্যয়নরত শিশুদের মাত্র ৩৪ শতাংশের পড়তে পারার এবং মাত্র ১৮ শতাংশের গুনতে পারার প্রাথমিক দক্ষতা রয়েছে। এক্ষেত্রে সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের অবস্থা আরও খারাপ। প্রতিবেদনে পড়তে পারার দক্ষতা বিচারে গত একবছরে স্কুল থেকে ঝরে পড়া এবং পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়া শিশুদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য মাত্রায় পার্থক্যের বিষয়টিও তুলে ধরা হয়েছে। গত একবছরের মধ্যে স্কুল থেকে ঝরে পড়া শিশুদের মাত্র ২৯ শতাংশের পড়তে পারার প্রাথমিক দক্ষতা রয়েছে, যেখানে স্কুলে পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়া শিশুদের মধ্যে এই হার ৩৯ শতাংশ।
আরও পড়ুন- উপাচার্য নিয়োগের প্রক্রিয়া স্বচ্ছ নয়: ইউজিসি
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, কোভিড-১৯ মহামারি যখন তৃতীয় বছরে পদার্পণ করছে, তখনও ২৩টি দেশে স্কুলগুলো পুরোপুরি খোলেনি। ওইসব দেশে প্রায় ৪০ কোটি ৫০ লাখ স্কুলগামী শিশুর বসবাস এবং এই শিশুদের অনেকে স্কুল থেকে ঝরে পড়ার ঝুঁকিতে রয়েছে। প্রতিবেদনে যেসব দেশের পরিস্থিতি পর্যালোচনা করা হয়েছে, সেই দেশগুলোর একটি বাংলাদেশ। দেশটি বিশ্বে সবচেয়ে বেশি সময় ধরে স্কুল বন্ধ থাকা দেশগুলোর অন্যতম এবং এখানে শিশুরা প্রায় ১৮ মাস সশরীরে স্কুলের পড়াশোনা কার্যক্রম থেকে বঞ্চিত হয়েছে।