প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার তারিখ চূড়ান্ত হয়নি
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার তারিখ চূড়ান্ত করা হয়নি। সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তারিখের যে বিজ্ঞপ্তি প্রচার করা হয়েছে সেগুলো কেন্দ্র নির্বাচনের প্রক্রিয়া বলে জানা গেছে।
বুধবার (১৬ মার্চ) বিকেলে দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান।
তিনি বলেন, সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার তারিখ এখনো চূড়ান্ত করা হয়নি। ফেসবুকে যেগুলো ছড়ানো হয়েছে সেটি চূড়ান্ত তারিখ নয়। কেন্দ্র নির্বাচনের জন্য অদিদপ্তর থেকে বিদ্যালয়গুলোতে পাঠানো চিঠি। বিদ্যালয়ের মতামত পাওয়ার পর তারিখ চূড়ান্ত করা হবে।
আরও পড়ুন: রুম সংকটে আটকে আছে ১৭তম নিবন্ধনের প্রিলি
এদিকে ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া দুটি চিঠিই দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসের হাতে আছে। প্রথম চিঠিটি পাঠানো হয় গত ১০ মার্চ। এতে স্বাক্ষর করেন অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) সোহেল আহমেদ। ওই চিঠিতে জানানো হয়, আগামী ১, ৮, ১৫, ২২ ও ২৯ এপ্রিল সহকারী শিক্ষক নিয়োগের লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
দ্বিতীয় চিঠিটি ইস্যু করা হয় গত ১৩ মার্চ। এতে স্বাক্ষর করেছেন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আলমগীর মুহম্মদ মনসুরুল আলম। ওই চিঠিতে বলা হয়, প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগের লিখিত পরীক্ষা আগামী ৮, ১৫ ও ২২ এপ্রিল এবং ১৩ মে অনুষ্ঠিত হবে। ওইদিন বিকেল ৩টায় পরীক্ষার জন্য সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহারের সিদ্ধান্তের কথা বলা হয়েছে। এসব তারিখে শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার জন্য প্রতিষ্ঠান কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহারের অনুমতি চাওয়া হয়েছে।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, আগামী মাসে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা হতে পারে। জুলাইয়ের মধ্যে শিক্ষক নিয়োগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।
আরও পড়ুন: স্কুল-কলেজের সব অ্যাসাইনমেন্ট স্থগিত
সহকারী শিক্ষকের ৩২ হাজার ৫৭৭টি শূন্যপদে নিয়োগের জন্য প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর ২০২০ সালের ২০ অক্টোবর বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। কিন্তু করোনা মহামারির কোরণে নিয়োগ পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব হয়নি। ইতিমধ্যে অবসরজনিত কারণে আরও দশ হাজারেরও বেশি সহকারী শিক্ষকের পদ শূন্য হয়েছে। এ কারণে ৪৫ হাজার শিক্ষক নিয়োগের সিদ্ধান্ত
এর ফলে সমস্যা নিরসনে মন্ত্রণালয় আগের বিজ্ঞপ্তির শূন্যপদ ও বিজ্ঞপ্তির পরের শূন্যপদ মিলিয়ে প্রায় ৪৫ হাজার সহকারী শিক্ষক নিয়োগের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে।