ঘুষ চেয়ে ফেঁসে গেলেন শিক্ষা কর্মকর্তা
দুই লাখ টাকা ঘুষ চাওয়ার অভিযোগে ফেঁসেছেন ভোলার লালমোহন উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আক্তারুজ্জামান মিলন। তার বিরুদ্ধে ঘুষ-দুর্নীতিসহ নানা অনিয়মের অভিযোগে তদন্ত শুরু করেছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। লালমোহনের ছবি বাঁধাইঘরের মালিক মো. ফজলু তার বিরুদ্ধে এ অভিযোগ করেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, গত ২০২১ সালের ২ ডিসেম্বর লালমোহন বাজারের ছবি বাঁধাইঘরের মালিক মো. ফজলু ওই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক ও শিক্ষামন্ত্রী বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন।
লিখিত অভিযোগে ফজলু উল্লেখ করেন, ২০২১-২২ অর্থবছরে উপজেলার ২০৮টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বঙ্গবন্ধু কর্নার ও শেখ রাসেল কর্নারের ছবির জন্য প্রায় এক কোটি টাকা বরাদ্দ আসে। ফজলু কাজটি পাওয়ার জন্য প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বরাবরে লিখিত আবেদন করেন। পরে তাঁর কাছে দুই লাখ টাকা দাবি করেন কর্মকর্তা।
আরও পড়ুন: অনলাইন ক্লাসে শিক্ষিকাকে বিয়ের প্রস্তাব ছাত্রের
এই টাকা দিতে না পারায় কাজটি তিনি অন্য একজনকে দিয়ে দেন। এ ছাড়া ২০১৯-২০ অর্থবছরে শিক্ষা অধিদপ্তরের দেওয়া বরাদ্দের অর্থ বিদ্যালয়গুলোর অনুকূলে ছাড় করার ক্ষেত্রে অর্ধকোটি টাকা হাতিয়ে নেন কর্মকর্তা।
গত বুধবার (০৯ ফেব্রুয়ারি) তদন্ত কমিটি লালমোহনে এসে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের একত্রে করে কথা বলে। গতকাল বৃহস্পতিবার তাঁরা বিভিন্ন বিদ্যালয়ে গিয়ে শিক্ষকদের সঙ্গে আলাদা কথা বলে বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করেন।
এই কর্মকর্তার বিষয়ে তদন্ত করতে এক মাসের বেশি সময় লেগে যাবে বলে জানান জেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা মো. কামরুজ্জামান।
তদন্তকারী কর্মকর্তা প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের শিক্ষা কর্মকর্তা (প্রশাসন) মুজিব আলম বলেন, ‘অভিযোগ সত্যতা প্রমাণে আমাদের তদন্ত অব্যাহত থাকবে।’