বিদ্যালয়ের দেয়ালে দেয়ালে রং-তুলির আঁচড়ে দেশের ইতিহাস-ঐতিহ্য
চট্টগ্রামের লোহাগাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভেতর-বাহির রাঙিয়ে তোলা হয়েছে রং তুলির আঁচড়ে। বিদ্যালয়ের ভবনের ভেতরে-বাইরে, প্রবেশ মুখ, সীমানা প্রাচীর সবখানে শিল্পী তাঁর রঙ তুলির আঁচড়ে রাঙিয়ে তুলেছে জাতীয় ফলমূল, পশুপাখি, দেশ-প্রকৃতি, মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস, বাংলা-ইংরেজি বর্ণ, মিনা কার্টুন ও মনীষীদের বিবিধ ছবি।
এতে করে বিদ্যালয়ে বেড়েছে শিক্ষার্থী উপস্থিতি। পাশাপাশি কমেছে ঝড়ে পড়া শিক্ষার্থীর হারও। শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়মুখী করতে সংশ্লিষ্টরা সরকারি স্লিপফান্ডের বরাদ্দ দিয়ে এমন ভিন্নধর্মী উদ্যোগ নিয়েছেন বলে জানা গেছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, রঙের ছোঁয়ায় বিদ্যালয়টি স্বপ্নপুরীর মতো সেজেছে। যেন নতুন প্রাণ ফিরে পেয়েছে। শিক্ষার্থীরাও খুব উৎফুল্ল এমন রঙ্গিন বিদ্যালয় পেয়ে।
বিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, বিদ্যালয় শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৩২৪ জন। স্কুলে মাঠে রয়েছে একটি টাইলস করা শহীদ মিনার। ‘বিজয় একাত্তর’, ‘অমর একুশে’ নামে বিদ্যালয়ের ভবন নামকরণ করার পাশাপাশি প্রাক-প্রাথমিক শ্রেণিকক্ষকে সিসিমপুর নামে নামকরণ করা হয়েছে।
স্কুলের শিক্ষার্থীরা জানান, স্কুল রঙ্গিন হওয়ার ফলে তাদের স্কুলে আসতে ভালো লাগে। এখন আর তারা আগের মতো স্কুল কামাই করেনা। ক্লাসে বসে পড়তে ভালো লাগে।
লোহাগাড়া সরকারি প্রথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক তপন চক্রবতী জানান, বাহারি এমন আয়োজনে শুধু শিক্ষার্থীরা না, উচ্ছ্বসিত অভিভাবকরাও। তিনি আরও জানান, এ কার্যক্রমের ফলে ক্লাসে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতির হার আগের চেয়ে অনেক বেড়েছে।
বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি মো. জহির উদ্দিন বলেন, আমাদের বিদ্যালয়টি আমূল পাল্টে গেছে। শিক্ষার্থীদের পড়াশোনায় মনযোগী ও ঝরে পড়া কমাতে বিদ্যালয়কে এভাবে রাঙানো হয়েছে।
লোহাগাড়া উপজেলা শিক্ষা অফিসার মো. আকরাম হোসেন বলেন, প্রাথমিক শিক্ষা হবে আনন্দদায়ক, চাপমুক্ত এবং সৃজনশীল। শিক্ষার্থীদের সুকুমার বৃত্তির উন্মেষ ঘটাতে লোহাগাড়ার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোকে এভাবে সাজানো হচ্ছে।