কী হবে বন্যাকবলিত ২১ বিদ্যালয়ের?
সরকারি ঘোষণা অনুযায়ী আগামী ১২ সেপ্টেম্বর খুলবে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এদিকে বন্যার পানিতে তলিয়ে রয়েছে ২১টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। এসব বিদ্যালয় নির্ধারিত সময়ে কীভাবে খুলবে তা নিয়ে শঙ্কিত বিদ্যালয়সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়, জেলায় ৪১৯টির মধ্যে ২১টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বন্যার পানি ঢুকেছে। এর মধ্যে সদর উপজেলায় ৪টি, পাংশায় ৩টি, গোয়ালন্দ উপজেলায় ৯টি এবং কালুখালী উপজেলায় ৫টি বিদ্যালয় রয়েছে।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা হোসনে ইয়াসমীন করিম জানান, আগামী এক সপ্তাহ অপেক্ষা করা হবে। এর মধ্যে বন্যার পানি নেমে গেলে ক্লাস শুরু হবে।
সদর উপজেলার বরাট ইউনিয়নের ৬ নম্বর কাঠুরিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি পদ্মা নদী থেকে মাত্র ২০ ফুট দূরে অবস্থিত। দোতলা ভবনটিতে গিয়ে দেখা যায়, এর চারপাশে হাঁটুপানি। এর মধ্যে ভবনের নিচতলা বন্যার্তদের জন্য সাইক্লোন শেল্টার হিসেবে খুলে রাখা হয়েছে।
একই অবস্থা মিজানপুর ইউনিয়নের চর সিলিমপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের। বন্যার পানি ঢুকে পড়েছে শ্রেণিকক্ষে।
পানিতে তলিয়ে থাকা ৬ নম্বর কাঠুরিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বিপ্লব কুমার দাশ জানান, পানি এখন কমতে শুরু করেছে। পানি আর না বাড়লে নির্ধারিত দিনেই স্কুল খোলা যাবে। তবে পানি বাড়লে কী হবে তা তিনি এখনও জানেন না।
তিনি আরও বলেন, ‘প্রাথমিকের শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়ে দোতলায় ক্লাস নেয়া হয়। নিচতলায় শুধু প্রাক-প্রাথমিকের ক্লাস হয়। এই শ্রেণির পাঠদান শুরুর নির্দেশনা আসেনি।’
গোপালবাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নুরুল ইসলাম জানান, দীর্ঘদিন পর ১২ তারিখ থেকে ক্লাস শুরু হওয়ার কথা। কিন্তু বন্যার কারণে সংশয় রয়েই যাচ্ছে। বিদ্যালয়ের চারপাশে পানি উঠে গেছে। এ পরিস্থিতির মধ্যেই বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আশপাশ এবং শ্রেণিকক্ষ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করার কাজ শুরু করেছে।
বরাট ইউনিয়নের ফজলু মোল্লার এক মেয়ে কাঠুরিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ে। তিনি জানান, ১২ তারিখ থেকে স্কুল খোলার কথা থাকলেও স্কুলে এখন হাঁটুপানি। এর মধ্যে স্কুলে পাঠাতে ভয় পাচ্ছেন।
আরেক অভিভাবক বৃষ্টি খাতুন জানান, তার ছেলে তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী। বিদ্যালয়ে বন্যার পানি ওঠায় স্কুল খুললেও তিনি ছেলেকে পাঠাবেন না।