করোনাকালেও বেড়েছে সাক্ষরতার হার
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন বলেছেন, দেশে গত বছরের তুলনায় এ বছর সাক্ষরতার হার ৭৪ দশমিক ৭ শতাংশ থেকে প্রায় ১ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। যা বর্তমানে ৭৫ দশমিক ৬ শতাংশ হয়েছে। সোমবার প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য তুলে ধরেন প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন।
তবে সরকারি হিসাব অনুযায়ী, সাক্ষরতার হার বাড়লেও দেশের মোট জনসমষ্টির ২৪ দশমিক ৪ শতাংশ মানুষ এখনো নিরক্ষর রয়েছেন। এ ছাড়া ২০১০ সালে দেশে সাক্ষরতার হার ছিল ৫৯ দশমিক ৮২ শতাংশ। সে হিসেবে গত এক দশকে সাক্ষরতার হার ১৬ শতাংশ বেড়েছে।
প্রতিমন্ত্রী জানান, শিক্ষা আইন-২০১৪ অনুযায়ী,৮-১৪ বছর বয়সের শিশু, যারা কখনোই স্কুলে যায়নি বা প্রাথমিক শিক্ষা শেষ করার আগে ঝরে পড়েছে এবং বয়স ১৫ বছর বা তদূর্ধ্ব বয়সের নারী-পুরুষ যারা স্কুলে যাননি, তাঁদের উপানুষ্ঠানিক প্রাথমিক শিক্ষা কার্যক্রমের আওতায় সাক্ষরজ্ঞান দেওয়া হয়ে থাকে।
তিনি বলেন, বর্তমানে উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর অধীনে ১ কোটি ৮০ লাখ নিরক্ষর মানুষকে সাক্ষরতা প্রদান করা হয়েছে। আগামী ৮ সেপ্টেম্বরে নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস উদ্যাপন করা হবে।
এ সময় অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা কার্যক্রমের আওতায় চলতি বছর থেকে ২০২৫ সালের মধ্যে ৩ কোটি ৩৭ লাখ ৯০ হাজার কিশোর-কিশোরী ও বয়স্ক নিরক্ষর জনগোষ্ঠীকে মৌলিক সাক্ষরতা প্রদান করা হবে বলেও উল্লেখ করেন প্রতিমন্ত্রী।