১৩তম গ্রেডের বেতন নিয়ে হয়রানির শিকার হচ্ছেন প্রাথমিকের শিক্ষকরা
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের ১৩তম গ্রেডে নির্ধারিত বেতন অনেক শিক্ষককে এখনও ঠিকমত দেওয়ার হচ্ছে না। এছাড়া শিক্ষকদের বেতন সংশ্লিষ্ট দফতর থেকে হয়রানি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে। এ কারণে আসন্ন ঈদে শিক্ষকদের বোনাস নিয়ে সমস্যা হতে পারে।
আজ মঙ্গলবার (২২ জুন) সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক সমিতির কেন্দ্রীয় সভাপতি মোহাম্মদ শামসুদ্দিন মাসুদ দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে এ সব কথা বলেছেন।
তিনি জানান, দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে প্রায় প্রতিদিনই অভিযোগ আসে ১৩তম গ্রেডের বেতন নিয়ে তাদের হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে। উপজেলা হিসাব রক্ষণ অফিস থেকে শিক্ষকদের কাজের বিষয়ে গুরুত্ব দেওয়া হয় না। এছাড়া উপেজলা শিক্ষা অফিসারের থেকেও কোন কোন জায়গায় সহযোগিতা পাওয়া যায়।
ওই শিক্ষক নেতা বলেন, শিক্ষকদের বেতন-ভাতা দেয়ার জন্য নির্ধারিত ‘আইবাস প্লাস প্লাস’ সফটওয়্যার মডিউলের সিস্টেমে ১৩তম গ্রেডের উচ্চধাপে বেতন নির্ধারণ সংক্রান্ত বিষয়টি সংযোজন (ইনপুট) করার পরও বিভিন্ন জেলা-উপজেলায় অনেক শিক্ষক এই গ্রেডে বেতন পাচ্ছেন না।
এদিকে ১৩তম গ্রেড যথাযথ বাস্তবায়নের বিষয়ে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ এম মনছুরুল আলম একটি নির্দেশনা দিয়েছেন। এতে বলা হয়েছে, সফটওয়্যারে স্নাতক বা সমমানের ডিগ্রির চেয়ে কম শিক্ষাগত যোগ্যতাসম্পন্ন শিক্ষকদের উন্নীত স্কেলের বেতন নির্ধারণের অপশন সংযোজনের জন্য ‘আইবাস প্লাস প্লাস’ প্রকল্প দফতরকেও চিঠি দেয়া হয়েছে। সহসা তা সংযোজন করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, এরপরও মাঠ পর্যায়ে উপজেলা শিক্ষা অফিস থেকে উন্নীত স্কেলে সহকারী শিক্ষকদের বেতন নির্ধারণ সম্পন্ন করেনি। এর ফলে শিক্ষকরা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। এই বিষয়ে আমরা প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সাথে কথা বলেছি। তিনি এই বিষয়ে একটি নির্দেশনা দিয়েছে কিন্তু এখন পযর্ন্ত সেটির বাস্তবায়ন দেখছি না।
জানা যায়, সরকার ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে সহকারী শিক্ষকদের বেতন গ্রেড ১৩তম করার সিদ্ধান্ত নেয়। কিন্তু দীর্ঘ দেড় বছরের পার হলেও এখনো ওই গ্রেডে সকল সহকারী শিক্ষক বেতন পাচ্ছে না।