বন্ধ স্কুল আঙিনায় বাঁধা গরু-ছাগল, হুঁশিয়ারি কর্তৃপক্ষের
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ০৭ জুন ২০২১, ১২:৫৬ PM , আপডেট: ০৭ জুন ২০২১, ০১:৩৬ PM
মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে সারাদেশে দীর্ঘসময় ধরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ। তাই বিভিন্ন বিদ্যালয় ভবন খালি পড়ে আছে। এ সুযোগে স্কুলের বারান্দায় এবং কক্ষকে গরু-ছাগলের ঘর বানিয়েছে স্থানীয়রা। আবার সেই শ্রেণি কক্ষেই নোংরা পরিবেশে শিক্ষার্থীদের পাঠদান করা হচ্ছে। সংবাদমাধ্যমে এমন সংবাদ আসায় স্কুলের আঙিনায়-ভবনে গরু-ছাগল না রাখার ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে নির্দেশনা দিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর।
বিভাগীয় অফিসের মাধ্যমে সকল জেলা শিক্ষা অফিসারকে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিতে বলা হয়েছে।
জেলা শিক্ষা অফিসারের কাছে পাঠানো নির্দেশনায় বলা হয়েছে, কিছু কিছু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের আঙিনায় ও মাঠে গরু-ছাগল বেঁধে রাখা হচ্ছে ও চড়ানো হচ্ছে এবং কোনো কোনো শিক্ষক শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয় মাঠে এনে একত্রিত করে পাঠদান করছেন। আবার অনেক শিক্ষক একটি বাড়িতে গিয়ে আশপাশের বাড়ির শিক্ষার্থীদের জড়ো করে পাঠদান করছেন, যা বিধিসম্মত নয় এবং নির্দেশনার পরিপন্থি কার্যক্রম।
এসব ঠেকাতে জেলা শিক্ষা অফিসারদের ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে নির্দেশনায়। অধিদফতরের এমন নির্দেশনার পর বৃহস্পতিবার (৬ জুন) সিলেট বিভাগীয় উপ-পরিচালক মো. মোসলেম উদ্দিন স্বাক্ষরিত চিঠিতে মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ, সুনামগঞ্জ ও সিলেট জেলা শিক্ষা অফিসে এসব নির্দেশনা জরুরি ভিত্তিতে বাস্তবায়ন করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
জানা গেছে, দেশের সকল বিভাগীয় অফিস থেকে জেলা শিক্ষা অফিসকে এ সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর জানিয়েছে, দেশের সকল জেলা শিক্ষা অফিসের মাধ্যমে বিষয়টি মনিটরিং করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি হলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, বরগুনা জেলার বেতাগী উপজেলার ৯৯নং ঝিলবুনিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বেশ কয়েকটি কক্ষ গরুর ঘর করে রেখেছে স্থানীয় প্রভাবশালী বাসিন্দারা। স্কুলের চারপাশে ঝোপঝাড় আর ময়লা আবর্জনায় আচ্ছন্ন। প্রতিটি কক্ষই গরু, ছাগলের দখলে। প্রতিটি শ্রেণিকক্ষে ৩-৫টি করে গরু বাঁধা রয়েছে। ছাদের ওপরে চলে তাস খেলার আড্ডা। সংবাদমাধ্যমে এমন একটি সংবাদ প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের নজরে আসে। এছাড়াও দেশের আরও কিছু জেলায় এ ধরনের ঘটনা হচ্ছে বলে স্থানীয় প্রশাসনের মাধ্যমে লিখিত অভিযোগ আসে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরে।